
নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর ভাটি অংশের ইজারাকৃত মৌজা থেকে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ইউএনও আবু বাক্কার সিদ্দিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ইজারাদার।
এঘটনায় আত্রাই নদীর ভাটি অংশের ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা ২২ মার্চ (বুধবার) জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৭৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকায় ইজারা গ্রহণ করেন। ইজারা গ্রহণের পর থেকে "মের্সাস নাকিব এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী" রহমত আলী মোল্লা বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। কিন্ত বিগত প্রায় ৬ মাস যাবত বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনএ আবু বাক্কার সিদ্দিক। বালু উত্তোলনে বাধা সৃষ্টি করার কারণে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। যা ইজারাদারের অপুরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
এসব বাধার কারণে ২৭ ফেব্রুয়ারীতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন ইজারাদার। যার নম্বর ২২৩৭/২৩। রিট পিটিশন দাখিলের পর শুনানী অন্তে আদালত লিজকৃত ৩৪৬.৩০ একর সম্পত্তির উপর স্থিতিবস্থা (স্ট্যাটাস্কো) বজায় রাখার আদেশ দেন। সেই সাথে Till Disposol of the Roll জারি করে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য ১২ মার্চ ৩৮৬ নং স্বারকের আলোকে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি ইস্যু করেন।
এরপরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাইকোর্ট ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকের আদেশকে তোয়াক্কা না করে ২১ মার্চ লিজকৃত মৌজা থেকে বালু উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এমতাবস্থায় ইজারাদার চরম বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ইজারাদার রহমত আলী জানান, ইজারাকৃত মৌজা থেকে বালু উত্তোলন করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছি। আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। হাইকোর্টের আদেশকেও তোয়াক্কা করছেন না তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, অভিযোগটি ভিত্তিহীন। ইজারাদারকে বালুি উত্তোলনে কোন বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। তবে নদীর পাড় (কিনারা) গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিটকবর্তী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিবার্তা/ আপেল/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]