টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে থানায় অভিযোগ করায় রফিকুল ইসলামকে (৩২) প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে আব্দুস ছালাম (৪২) নামে এক আদম ব্যবসায়ী। মারপিটের ঘটনায় মো. রফিকুল ইসলাম ২২ মার্চ বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের অফিসে এ অভিযোগ দেন।

আদম ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম উপজেলার বড়বাজু দেউপুর গ্রামের মৃত মর্তুজ আলীর ছেলে।

বর্তমানে প্রাণ ভয়ে বসত ভিটে ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রফিকুল। রফিকুল ইসলাম উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের দেউপুর গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে।

জানাগেছে, উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের সাড়ে ১২ শতাংশ জমি পৈত্রিকসূত্রে পান। কিছুদিন আগে সে তার মা রোকেয়া বেগমকে জমি দুটি লিখে দেন। সম্প্রতি ওই সম্পত্তির খাজনা-খারিজ তার মায়ের নামে করে দিতে গেলে সম্পত্তি ভোগকারী তার চাচা আব্দুস ছালাম তাতে বাঁধা দেন। চাচার কথা না শোনায় গত বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বড়বাজু দেউপুর বাজারে রহিমের চায়ের দোকানে তার ফুফাতো ভাই বায়োজিত পন্নী তালুকদারসহ তাকে বেদম মারপিট করে চাচা ছালাম। মারপিটের সময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে রফিক “৯৯৯” ফোন দেন। ফোন পেয়ে কালিহাতী থানার এসআই রফিকুল ইসলাম তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় কালিহাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

রফিকুল ইসলাম জানান, আমার চাচা প্রভাবশালী আদম ব্যবসায়ী হওয়ায় ঘটনার পর থেকে প্রাণের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যে কারণে ঘটনার পর কালিহাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারিনি। পরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি কোনভাবে জানতে পেরে বিভিন্নভাবে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আমার চাচা। তিনি ইতিপুর্বে একটি ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও ভূমিদস্যূতা ও জঙ্গি সংগঠনের সমপৃক্ততা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সল্লা ইউনিয়নের স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. আনিছুর রহমান আনু জানান, মারপিটের ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। ইতিপূর্বে আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের বিষয়টি সত্য, এটা এলাকার সবাই জানে। পরে রহস্যজনকভাবে মামলাটি মীমাংসা করে ফেলেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুস ছালাম জানান, তিনি বুধবার সারাদিন সল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমের সাথে ছিলেন। তিনি তার ভাতিজা রফিকুলকে কোন ধরণের হুমকি-ধামকি দেন নি।

বিবার্তা/ইমরুল/জবা