
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় প্রশাসনের সংশ্লিস্ট ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে করাতকল ব্যাবসা চালিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার করাতকল সংক্রান্ত খোজখবর নিয়ে এমন তথ্যই মিলেছে।
স্থানীয় বন বিভাগ সূত্রে জানাগেছে উপজেলায় মোট ৪২টি করাতকল চলমান রয়েছে, তন্মধ্যে ৩৩টির’ই নেই লাইসেন্স এ ছাড়াও অপর ৯টির মধ্যেও কারো কারো নেই নবায়ন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই এসব করাতকল গুলো অবৈধভাবেই পরিচালিত হচ্ছে, এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব।
এ নিয়ে বন বিভাগ সূত্রেও জানা গেছে, দুর্গাপুর পৌরসভা, কুল্লাগড়া, চন্ডিগড়, বিরিশিরি, বাকলজোড়া, কাকৈরগড়া ও গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন গুলোতে সব মিলিয়ে করাতকল রয়েছে ৪২টি। তার মধ্যে অনুমোদন আছে মাত্র ৯ টির। বাকি ৩৩টি করাতকলের কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করছে করাতকল মালিকরা। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠেছে এসব করাতকল গুলো।
ফলে এসব অবৈধ করাতকল গুলোতে ফলদ, বনজসহ(শাল,সেগুন ও গজারী) বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চেড়াই করা হচ্ছে। রাত ৮টার পর কাঠচেড়াই নিষিদ্ধ থাকলেও অনেকেই মানছেনা এ নিয়ম। বেশকিছু করাতকল গুলো রয়েছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘেঁষে জনব্যস্ততম এলাকায়। সড়কের একাংশ দখল করে করাতকলে চেড়াই করতে আনা গাছের গুঁড়ি রাখা হয়েছে। যে কারণে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধু তাই নয়, লাকড়ি কিনতে ও গাছ নামাতে আসা গাড়ীগুলো সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যানবহন চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে বলে জানান পথচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই স’মিল গুলো চলার কারণে মিল গুলোতে চোরাই ভাবে আনা বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছ রয়েছে বলেও জানা গেছে। অনুমোদনহীন এসব স’মিল গুলো বন্ধ করার কোনো উদ্যোগও চোখে পড়ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ দেওয়ান আলী বলেন, ইতোমধ্যে এসব অবৈধ করাতকলের মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে,অচিরেই এদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
বিবার্তা/রফিক/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]