কক্সবাজারের চকরিয়ার কোনাখালীতে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে একের পর এক ১৩টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে বসতঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণ, ধান, চাল, তরকারি, বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র,শিক্ষার্থীদের বই খাতাসহ বিভিন্ন সামগ্রী পুড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ সকাল ১০ দিকে কোনাখালী ছইনাম্মার ঘোনা ৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে স্থানীয় সংসদ সংসদ সদস্য জাফর আলম তৎকানিক পুড়ে যাওয়া প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রাথমিক ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানান,বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে মুহূর্তের মাঝে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পরে পার্শবর্তী পেকুয়া উপজেলার ফায়ারসার্ভিস ও চকরিয়া ফায়ারসার্ভিস কয়েক ঘন্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় সংসদ সংস্য জাফর আলম,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান,মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ পরিবারের মাঝে চাল ও কম্বল, চেয়ারম্যান বাবলার পক্ষথেকে প্রত্যেক পরিবারকে ৫হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার জানান,সম্প্রতি সময়ে তারা ঘর গুলো নির্মাণ করেছিল।হঠাৎ তাদের ঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এসব পরিবারগুলো খুবই গরিব। তিনি আর ও জানান এতে করে ১৩ ঘরের ১ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সংসদ জাফর আলম বলেন,প্রাথমিকভাবে আমার পক্ষথেকে ১০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তাদের পূর্ণবাসন করার জন্য উপজেলা প্রশাসন সহ বসে যা করার করা হবে।সংসদ জাফর আলম সমাজের সম্পদশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কেউ কেউ পুড়ে যাওয়া বসতঘরের দিকে তাকিয়ে বিলাপ ধরে কান্না করছেন।

বিবার্তা/তাফহীমুল/এসবি