নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষী এলাকায় গরু ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বেচু (২০) খুনের ঘটনায় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হচ্ছেন, চরলক্ষ্মী গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন (২০), একই গ্রামের মাহফুজের ছেলে রাশেদ (৩০), আমিনুল হকের ছেলে মাইন উদ্দিন মিষ্টু (৩২), আবুল হোসেনের ছেলে মহিন উদ্দিন চাঁন মিয়া (২১) ও আবুল কালামের ছেলে লোকমান হোসেন (৩৭)।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গত ৬ মার্চ সোমবার সকালে স্থানীয় ছমিরহাট বাজারে গরু বিক্রি করতে যায় দিদারুল আলম বেচু। বাজারে গরু বিক্রি করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলো সে। তার অটোরিকশাটি চরলক্ষ্মী গ্রামের গোলাম মাওলার কিল্লা এলাকায় পৌঁছলে ৭-৮জন তার বাড়ি গতিরোধ করে সাথে থাকা টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এসময় তাদের বাধা ও টাকা দিতে অপারগতা দেখালে প্রথমে গাছের ডাল দিয়ে বেচুর মাথা, কপাল ও চোখ সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে এবং পরে ধারালো ছোড়া দিয়ে তার শরীরে জখম করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় বেচুকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ মার্চ শুক্রবার ভোরে মারা যায় সে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বিবি আয়েশা বাদি হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে চরজব্বর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সোমবার রাত সহ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাছের ডাল ও ছোড়া উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুই জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাই এবং হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে এ ঘটনার মূল হোতা লুন্ঠিত টাকা ও মোবাইল সহ এখনও পলতাক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

বিবার্তা/সবুজ/জবা