মাহফিল থেকে ফেরার পথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আমিরুল ইসলাম (৪০) নামের এক দুবাই প্রবাসিকে কুপিয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামী দুর্ধর্ষ ডাকাত অলিউর রহমান অলি (৪৫) গ্রেফতার হয়েছে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঢাকা রামপুরা থানা পুলিশের সহযোগিতায় পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে অলিকে গ্রেফতার করে শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে মঠবাড়িয়া থানায় নিয়ে আসেন।
হত্যা মামলায় গ্রেফতার অলিউর রহমান অলি উপজেলার চালিতা বুনিয়া গ্রামের মৃত. তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। দুই সন্তানের জনক নিহত আমিরুল ইসলাম ওই গ্রামের মুনসুর আলী ওরফে মোকসেদ আলী হাওলাদারের ছেলে। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেফতার কৃত দুর্ধর্ষ ডাকাত অলিউর রহমান অলিকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অলির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে একই মাওলায় গ্রেফতার কৃত হাফিজুর রহমান হায়দার (৫১), তাহসিন আরবি (১৯), নিয়াজ মাহমুদ (১৭), হোসাইন (১৮) কে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার আরও বলেন, তাহসিন একটি মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ছিলো এবং ওই মেয়েকে বিভিন্ন সময় পথে-ঘটে উত্যাক্ত করে আসছিলে। বিষয়টি ওই মেয়ের পরিবার জানতে পেরে প্রবাসি আমিরুল ইসলামের মাধ্যমে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাহসিন আরবি তার অন্যান্য সহযেগিদের নিয়ে মাহফিল থেকে ফেরার পথে কথিত ঘটক প্রবাসি আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রবাসি আমিরুল বাড়ি থেকে স্থানীয় চালিতাবুনিয়া দীনিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ওয়াজ মাহাফিল শুনতে যান। মাহাফিল শেষে রাত দেড়টার দিকে সে গ্রামের সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে এসময় পঞ্চায়েত বাড়ির রাস্তার মোড়ে পৌছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল হতে নিহত আমিরুলের লাশ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাওলানা মো. নূরুল ইসলাম (৫৩) বাদি হয়ে গত ২২ ফেবব্রুয়ারি (বুধবার) ৫ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। আসামীরা হলো- উপজেলার চালিতা বুনিয়া গ্রামের মৃত. তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে, হাফিজুর রহমান হায়দার (৫১), অলিউর রহমান অলি (৪৫), হাফিজুর রহমান হায়দারের ছেলে তাহসিন আরবি (১৯), মাহাবুবুর রহমান ছেলে নিয়াজ (১৭), ইউনুস হাওলাদারের ছেলে হোসাইন (১৮)। ঘটনার পর পরই থানা পুলিশ হাফিজুর রহমান হায়দার, তাহসিন আরবি, নিয়াজ মাহামুদ ও হাসাইনকে আটক করে ।
বিবার্তা/তাওহিদুল/নয়ন/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]