
রাজধানীর শাহজাহানপুরে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নাদিয়া খাতুন (১০) এর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ করেন ফরেনসিক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার জান্নাতুল নাঈম।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাজাহানপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেলি আক্তার তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। ভিকটিমের গায়ে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
শরীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষতচিহ্ন রয়েছে কপালের ডান অংশে আচড় কাটা দাগ ডান গালে কালো লালচে দাগ থেতলানো ফোলা পরিলক্ষিত হয়, নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। বুকপেটে কালচে দাগ কাপড়ের চামড়ার সাথে পিঠে লাগানো।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, শাজাহানপুর থানাধীন ৮৭/১ শান্তিবাগ, শান্তি নিকেতনের ফ্ল্যাট নং ২/সি, ফরহাদ বাঁধন মৌ এর বাসায় প্রায় দেড় বছর যাবত গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে আসছে শিশু নাদিয়া।
গত রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাতটার দিকে গৃহকর্ত্রী মৌ নাদিয়ার বাবাকে মুঠোফোনে বলেন নাদিয়া অসুস্থ আপনি ঢাকায় আসেন। পরে ঢাকায় আসে নদীয়ার বাবা নজিব উদ্দিন। মৌ এর বাসায় তিনি মেয়ের খোঁজ করলে মৌ বলেন, সে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে আমরা সব ব্যবস্থা করে দিব।
আপনাকে ৭০ হাজার টাকা এবং মিলাদের আয়োজনে যা খরচ যায় সেটা আমি দেব আপনি কাউকে বলবেন না তখন তার বাবা শিশু নাদিয়াকে দেখতে চায় এরপর কৌশলে মৌসহ বাসার সবাই পালিয়ে যায়। পরে তিনি বাইরে এসে শাজাহানপুর থানায় ফোন দেন। পরে পুলিশ হলি ফ্যামিলির সামনে থেকে লাশ বহনকারী ফ্রিজিং গাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন।
মৃতের বাবা বিবার্তাকে বলেন, এই মৌয়ের বাড়িতে আমার বড় মেয়ে নাজমা সাত বছর কাজ করেছে। একটাও বেতন দেয়নি শুধু বলেছে তোমার মেয়েকে মানুষ করে দেবো এবং বিয়ে করিয়ে দেব। ছোট মেয়ে দেড় বছর কাজ করে এখন পর্যন্ত কোন টাকা পয়সা দেয়নি মৌ। অনেক আশা করে ভালো ভেবে মৌ এর বাসায় দুই মেয়েকে কাজে দিয়েছিলাম আমার ছোট মেয়েকে তারা মেরেই ফেললো।
এই ঘটনায় আমি বাবা বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করি। আমাদের বাড়ি দিনাজপুর জেলার অটোয়ারী থানা এলাকায় আমার তিন মেয়ে নাদিয়া ছিল দ্বিতীয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিবার্তা/বুলবুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]