কক্সবাজারে মো. আলিম নুর নামের এক জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাব ১৫।
শনিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে খুরুশকুল থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ১৭ ফেব্রুয়ারীতে বরগুনা জেলার বঙ্গোপসাগরে মালিকানাধীন এফবি ভাই ভাই নামীয় মাছ ধরার একটি ট্রলার পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানা এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে।
ট্রলারটি ৮/৯ ঘন্টা চলার পর পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি থানাধীন সোনার চরে পূর্ব পার্শ্বে বঙ্গোপসাগরের গভীর জলরাশিতে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে ২০/২৫ জনের জলদস্যু বোঝাই একটি ট্রলার এফবি ভাই ভাই নামের মাছ ধরার ট্রলারটিকে ধাক্কা দিয়ে গতিরোধপূর্বক ডাকাতি ও লুট করে।
এ সময় জলদস্যুরা সকল মাঝিদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ও নীলাফুলা জখম করে মাঝিদের টাকা, জাল, জ্বালানি তৈল ও সাথে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ৯ জন জেলে লাফ দিয়ে নিখোঁজ হলেও চারজন জেলে ফিরে আসে এবং বাকী পাঁচজন জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় পটুয়াখালী জেলায় রাঙ্গাবালি থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক জানান, গত শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে খুরশকুল এলাকা থেকে একজন সন্দেহভাজন জলদস্যু কে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে মাঝিদের দুইটি বাটন ফোন পাওয়া যায়।
আটক মো.আলিম নূর ওরপে আলমগীর (৩৯) সদরের খুরশকুল ৮নং ওয়ার্ড মনুপাড়া এলাকার মো. হাসেমের ছেলে।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আরও জানান,আটক ব্যক্তি তার সহযোগী অপরাধীদের নিয়ে সমুদ্র এলাকায় চলাচলকারী নৌযানে ডাকাতি, অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ দাবি, গুম, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে থাকে । এবং জলদস্যুর বিরুদ্ধে আগের ডাকাতি মামলায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিবার্তা/তাফহীমুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]