ডিএনসিসিতে কবর দেয়ার নয়, সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে: মেয়র আতিক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:০৪
ডিএনসিসিতে কবর দেয়ার নয়, সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে: মেয়র আতিক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কবর দেয়ার জন্য নয়, বরং কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করতে ডিএনসিসিতে কবর সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।


তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কবরস্থানে কবর দেয়ার ফি বাড়ানো হয়নি, বরং কবর সংরক্ষণের জন্য ফি বাড়ানো হয়েছে। কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই মূলত সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক আবেদন আসে কবর সংরক্ষণের জন্য। এভাবে কবর সংরক্ষণ করা হলে কবর দেয়ার জায়গা কমে যাবে। আশা করছি ফি বৃদ্ধির কারণে কবর সংরক্ষণের আবেদন অনেক কমবে এবং সাধারণ মানুষ কবর দেয়ার সুযোগ পাবে।


১০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ডিএনসিসির উন্নয়নকৃত উত্তরা ৪নং সেক্টর কবরস্থান উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।


ডিএনসিসির কবরস্থানে জনগণ সীমিত ফিতে দাফনের সুযোগ পাচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানে প্রতিটি মৃতদেহ দাফন বাবদ রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র ৫০০ টাকা এবং দুঃস্থ, অসহায় ও বিত্তহীন মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ফি মাত্র ১০০ টাকা। এছাড়াও কেউ যদি একশো টাকাও পরিশোধ করতে অপারগ হয় তার জন্য বিনামূল্যে দাফনের সুযোগও রয়েছে।'


এসময় তিনি বলেন, কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা মেইনটেন্সের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকে, কমিউনিটিকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকাবাসী ও সোসাইটির নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশনের স্থাপনা, ফুটপাত, মাঠ, পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নির্মাণকাজের জন্য গাছ কাটা যাবে না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি গাছ না কেটে কাজ সম্পন্ন করতে। আমরা সাধারণত একটি গাছ কেটে ৩টি গাছ লাগানোর কথা বলি। কিন্তু এখন বলছি গাছ না কেটেই ৩টি গাছ লাগাবেন।'


উত্তরা ৪ নং সেক্টর কবরস্থানের মোট আয়তন ১.২২৮ একর, উন্নয়ন কাজের ব্যয় ৪.৬৭ কোটি টাকা, মোট কবরের সংখ্যা ৫০০৮টি। কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরের ৯ তারিখ শুরু হয়ে কাজ সমাপ্তির ঘটে ২২২২ সালের ৩০ নভেম্বর।


উত্তরা ৪নং সেক্টর কবরস্থানটিতে যা যা রয়েছে-


কবরস্থানের চতুর্দিকে নিরাপত্তা বেস্টনী, মার্বেল ফ্লোরসহ দৃষ্টিনন্দন দু’তলা মসজিদ ভবন, কবরস্থান পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষণের জন্য একটি আধুনিক অফিস ভবন, প্রয়োজনীয় ওজুখানা ও পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা, অভ্যন্তরীণ ওয়ার্কওয়ে (৮০০ মিটার), পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক লাইটিং ব্যবস্থা, রোদ-বৃষ্টির জন্য কবরস্থানের অভ্যন্তরে ৫টি ওয়াক- ওয়ে, মৃত ব্যক্তির গোসলের সু-ব্যবস্থা, জানাযার জন্য খাটিয়া রাখার আলাদা প্লাটফর্ম, ১টি দৃষ্টিনন্দন প্রবেশ গেট, কবরস্থানের পূর্ব ও পশ্চিমে এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য অতিরিক্ত ২টি পকেট গেট, কবরস্থানে চারিদিকে বাউন্ডারীফেন্সে আরবি হরফে সুদৃশ্য ক্যালিওগ্রাফি, কবরস্থানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও অন্যান্য গাছ (প্রায় ৭০০টি), কবরস্থানের বাহিরের চারিদিকে পায়ে হাঁটার পথসহ অন্যান্য সুবিদাধি।


বিবার্তা/সানজিদা/জামাল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com