
কক্সবাজার জেলার রামু ফতেখারকুল ইউনিয়নে চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ডের ১ কিলোমিটার দক্ষিণে বাকখালী নদীর তীরে অবস্থিত প্রাচীণ স্থাপত্য শৈলী ধারার নির্মিত লামাপাড়া বৌদ্ধ ক্যায়াং।
১৯ শতকের প্রথম দশকে রামুর প্রখ্যাত ব্যাক্তিত্ব থু অং গিয়াও চৌধুরী এই খিয়াংটি নির্মাণ করেন। এখানেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ পিতল নির্মিত বুদ্ধ মূর্তিটি একটি মার্বেলের মঞ্চের উপর স্থাপন করা হয়েছে। বার্মার কিছু সংখ্যক রাজকীয় মিস্ত্রী দ্বারা তৈরি এই খিয়াংটির স্থাপত্যশৈলী আপনাকে মুগ্ধ করবে। কুতুবদিয়া ব্যাতিত কক্সবাজার জেলার প্রায় সব থানাতেই এমন খিয়াং চোখে পরবে। শুধু রামুতেই এরকম প্রায় ২৩টি খিয়াং রয়েছে তবে এসকল খিয়াং এর মধ্যে হাইতোপিতে অবস্থিত বিশাল খিয়াংটি বিশেষভাবে উল্ল্যেখযোগ্য।
এটি দেখতে দূরদুরান্ত ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ও রাখাইন সম্প্রদায়ের অনুগামীরা যেমন ভীড় করেন তেমনি অসংখ্য পর্যটক আসেন এই ক্যায়াংটি দেখতে।এটির কারুকার্য এতই চমৎকার যে, যে কারো মন জুড়িয়ে যায়। তাই বৌদ্ধদের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ধর্মীয় ভাবধাম্বীর্যে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে এই ক্যায়াং শত বছরের ও বেশি সময় ধরে।কাঠের তৈরি এই ক্যায়াং সকলের নজর কাড়ে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। তাই বাসে করে আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌছাতে পারবেন। আপনার সুবিধার্থে ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর সংখ্যা শতাধিক।
কক্সবাজারে গিয়ে লোকাল যানবাহনে চড়ে এই স্পটে যেতে পারেন।লামাপাড়া খিয়াং কক্সবাজার জেলার রামুর ফতেখারকুল ইউনিয়নে চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ডের ১ কিলোমিটার দক্ষিনে বাকখালী নদীর তীরে অবস্থিত। চৌমুহনী থেকে ১০ টাকা দিলেই অটো বা রিকশায় চলে যেতে পারেন সেই দৃষ্টিনন্দন ক্যায়াংএ।
বিবার্তা/বিএম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]