তানোরে ঝঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে শিশুদের পারাপার
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৫
তানোরে ঝঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে শিশুদের পারাপার
তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা
প্রিন্ট অ-অ+

রাজশাহীর তানোর পৌরএলাকার গোল্লাপাড়া থেকে হঠাৎপাড়া গ্রামের যাওয়ার খাড়ির উপর সেতুটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেতুটির পাশে হঠাৎপাড়া গ্রামের তানোর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিক্ষার্থীসহ দুই গ্রামের মানুষ সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে সেতুটির উপর বসে খেলা করে। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা খুবই ঝঁকিপূর্ণ। সেতুর নিচের পলেস্তরা খুলে পড়ে গেছে। দুইধারে কোনো রেলিং নেই। ফলে পুরো সেতুর নিচের অংশটুকুর সব রড বের হয়ে গেছে।


তানোর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরিদ, নয়ন, জিহাদসহ অনেকে বলে, সেতুর উপর দিয়ে যাওয়া সময় নড়াচড়া করে। ভয়ে ভয়ে পার হই।


তানোর হঠাৎপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শরীফা খাতুন ও সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কী যে সমস্যায় আছি বলে বোঝাতে পারবো না। সেতু দিয়ে দুই গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। সেতুর নিচের অংশের সব পলেস্তরা খুলে গিয়ে রড বের হয়ে গেছে। এমনকি পিলারগুলো ফেঁটে গেছে। স্কুলের সামনেই সেতুটির অবস্থান। আমাদের স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ওই সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভয় লাগে কখন না জানি কী হয়। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে।


তারা বলেন, ২০২১ সাল থেকে আমরা একাধিকবার লিখিতভাবে তানোর পৌর মেয়র ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।


তানোর পৌর এলাকার হঠাৎপাড়া গ্রামের সমাজ সেবক শহিদুল ইসলাম নান্টু বলেন, ১৯৯৪ সালের দিকে বে-সরকারি এনজিও সিসিডিবি অফিস থেকে প্রথমে সেতুটি তৈরি করে দেয়া হয়। পরে সেতুর একপাশে ভেঙে যায়। পরবর্তী ১৯৯৭ সালের দিকে এলজিইডি অফিস থেকে এটি নির্মাণ করা হয়। পানির স্রোতে সেতুটির পিলারের নিচের মাটি সরে গেছে। এমনকি রড বের হয়ে পিলার ফেটে গেছে। মানুষ চলাচলের সময় নড়াচড়া করে। যে কোনো ভেঙে পড়ে যেতে পারে। তাই আমি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা ও নতুনভাবে সেতুটি তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি।


তানোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আরব আলী বলেন, বর্তমানে মেয়র অসুস্থ আছেন। সেতুটি র্নিমাণ করেছে (এলজিইডি)। আমাদের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে সেতুটি। আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


তানোর উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, সেতুটির বিষয়ে আমার জানা নেই।


বিবার্তা/কেআর

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com