হাতিয়ার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতির হাজার হাজার মানুষ জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দাবি তুলছেন।

২১ জানুয়ারি, শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের অবস্থিত অস্থায়ী টাংকী বাজার পুলিশ ক্যাম্প প্রাঙ্গণে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে আসলে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থায়ী তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের জোর দাবি জানান। তবে দস্যুদের ভয়ে স্থানীয়দের কেউ-ই ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরগাজী ইউনিয়নের বয়ারচর টাংকি বাজার ও টাংকি মাছ ঘাট হচ্ছে রামগতির মধ্যেই। কিন্তু নোয়াখালীর হাতিয়ার মানুষ দাবি করছে টাংকি বাজার তাদের অধীনে। এ নিয়ে ২৫ বছর ধরে রামগতি ও হাতিয়ার সঙ্গে সীমানার জটিলতা নিয়ে অসংখ্যবার সংঘর্ষ হয়। বারবার সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় ১৮ ব্যক্তি প্রাণ হারান। ২০০৩ সালে আ স ম আব্দুর রব নৌপরিবহন মন্ত্রী থাকাকালীন তেকাছিয়া মোহাম্মদীয়া পুলিশ ফাঁড়ি ও বয়ায়চর টাংকি বাজার অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেন। ওই থেকে প্রাণহানি কমলেও এখনো প্রায়ই বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।তাই বাসিন্দাদের মাঝে এখন চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তবে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ জানান, তেগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ও টাংকি বাজার পুলিশ ফাঁড়ি হচ্ছে রামগতির এলাকা। এখনকার বসবাসরত বাসিন্দারা শতভাগ ভোটার হচ্ছেন রামগতির। মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি দুইটি পুলিশ ক্যাম্পকে, তদন্ত কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার। তাহলে এখনকার মানুষ জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, ২০ হাজার মানুষের নিরাপত্তার জন্য দুইটি পুলিশ ক্যাম্প আছে। দুইটি ক্যাম্পের মধ্যে যদি একটিকে তদন্ত কেন্দ্র করা হয়, তাহলে মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। এখনকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসবাসকারীরা রামগতির ভোটার। সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে আমার জোর দাবি থাকবে দ্রুত একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের।

লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ কম্বল বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের জানান, টাংকি বাজার নিয়ে হাতিয়ার সঙ্গে সীমানা জটিলতা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। টাংকি বাজার পুলিশ ক্যাম্প যেহেতু রামগতি থানার অধীনে। আমি দ্রুত সংশ্লিষ্ট ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেব তদন্ত কেন্দ্র করার জন্য। এখনকার মানুষের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

বিবার্তা/সুমন/জামাল