কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শত শত পর্যটকের সমাগম। দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখরিত হয়েছে সৈকতে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ও পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন শত শত পযর্টক। পর্যটকের পদভারে মূখরিত হয়ে উঠেছে সমুদ্র সৈকত। যার কারণে পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সৈকত পর্যটকদের বেশ আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। আগামীতে আরো বেশি পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সৈকতে দেখা মিলছে শত শত পর্যটকের আনাগোনা, সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোড়ায় চড়ে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। সৈকতের ফটোগ্রাফার দের হাতে ক্যামেরা বন্ধী হচ্ছেন অনেকে। বীচ বাইক করে বালিয়াড়ির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরছেন পর্যটকরা। বালিয়াড়ি পেরিয়ে সমুদ্রের নীল জলরাশিতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কেউ বা সারি সারি দল বেঁধে এসেছেন, কেউ কেউ পরিবার-পরিজন বা প্রিয়জনকে নিয়ে এসেছেন সৈকতে।
ভোলা থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, পরীক্ষা শেষ তাই চলে এসেছি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে। প্রতিবারের মতোই প্রকৃতির টানে ছুটে আসা। সাগরের নীল জলরাশি দেখে মনটা জুড়িয়ে গেছে। এত সুন্দর সমুদ্র সৈকত থাকতে দেশের মানুষ কেন যে অন্য দেশে যায়?
আরেক পর্যটক বলেন, কক্সবাজার এসে খুব ভালো লাগছে। তবে রুম না পেয়ে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। অবশেষে অনেক চেষ্টার পর একটি হোটেলে রুম পেয়েছি। তবে তাও কিছুটা অতিরিক্ত দাম।
এক রেস্তোরাঁর পরিচালক বলেন, পর্যটকদের সেবায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। পর্যটন শিল্পের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা সব খাবারের দাম কম রাখছি।পর্যটকদের সবসময় তাজা এবং ফ্রেশ খাওয়ানোর জন্য কাজ করছি।
সি সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফগার্ড মো. ভুট্টো মজুমদার জানান, সৈকতের কলাতলী থেকে শুরু করে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত শত শত পর্যটকের সমাগম রয়েছে। এদের বেশির ভাগ মানুষই সমুদ্রে গোসল করছেন। তাই এসব মানুষের নিরাপত্তায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ, বালিয়াড়ি টহল ও সমুদ্রের পানিতে বোট নিয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ওসি গাজী মিজান জানান, পর্যটকদের হয়রানি রোধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পর্যটকদের অভিযোগ শোনার জন্য আমরা হেল্প ডেস্ক চালু রেখেছি। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিবার্তা/তাফহীমুল/বিএম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]