রাজশাহীর তানোরে আগের তুলনায় বেশ ঘুঘু পাখি দেখা মিলছে। বর্তমানে এই উপজেলার শহরেও অনেক ঘুঘু পাখি চোখে পড়ে। বিশেষ করে তিলা ঘুঘু। সরজমিনে গিয়ে তানোর পৌর এলাকার বিলকুমারী বিল সংলগ্ন বোরো জমির খেতে হেঁটে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ঘুঘু পাখির দেখা মেলে।
স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন স্বপ্নচারী সংস্থার সভাপতি রুবেল হোসেন মিন্টু বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনতা বেড়েছে। পাখি শিকারীদের দৌরাত্ম্যও কমছে। ফলে পাখি বেড়েছে। বন্দি পাখি উদ্ধার ও আহত পাখি বাঁচাতে আমরা সংগঠনের পক্ষে আপ্রাণ চেষ্টা করি। বিপদগ্রস্ত পাখির খোঁজ পেলে আমরা সেখানেই ছুটে যাই। আমরা তানোর উপজেলা চত্বরসহ আমাদেও গোকুল-মথুরা গ্রামকে পাখির অভায়শ্রম ঘোষণা করেছি।
পৌর সদরের গোল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ কৃষক জানান, তাঁর বোরো ধানের বীজতলা তৈরির সময় ঘুঘু পাখি ধান খাওয়ার জন্য দল বেঁধে বীজতলার মধ্যে নেমে পড়ে। পাখিগুলো কিছুটা ক্ষতি করে বটে। কিন্তু তিনি কীটনাশক ছিটিয়ে দেন না, এমনকি ফাঁদ পেতেও রাখেন না। বরং ধানের চারা একটু বড় হওয়া পর্যন্ত কৃষি শ্রমিক রেখে দেন বীজতলা পাহারা দেওয়ার জন্য।
এ নিয়ে বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি সহিদুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আগেও ঘুঘু পাখি চোখে পড়তো না। বর্তমানে তিলা ঘুঘু অনেক বেড়েছে। তিলা ঘুঘুর পালকের রং বুকের নিচে ধূসর, পিঠ বাদামি, গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা ফোঁটা। ঠোঁট বাদামি। পাখির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে অন্যান্য প্রজাতির ঘুঘু পাখির দেখা মিলবে বরেন্দ্র অঞ্চলে। আমরা তানোর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানকে পাখির নিরাপদ অভায়শ্রম গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।
বিবার্তা/অসীম/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]