ঢাকা শহরের বর্তমান সময়ের প্রধান সমস্যা বায়ু দূষণ। বায়ু দূষণ বন্ধ করতে সবুজায়ন বৃদ্ধি করা জরুরি। প্রতিবছর একজন সুস্থ ব্যক্তির নিঃশ্বাস নিতে ৭৮৬ গ্রাম অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রত্যেক কাটায় সাত থেকে আটটি গাছের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ঢাকা শহরে এখন তা কল্পনা করা দূরহ।

১৪ জানুয়ারি, শনিবার মিরপুর ডিওএইচএস-এ সবুজ আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে ‘ঢাকা মহানগর উত্তরের সবুজায়ন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, প্রতি বছর একজন সুস্থ ব্যক্তির নিশ্বাস নিতে ৭৮৬ গ্রাম অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রতি কাঠায় সাত থেকে আটটি গাছের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ঢাকা শহরে এখন তা কল্পনা করা দুরূহ।

তারা বলেন, ঢাকা মহানগরে সবুজায়ন বৃদ্ধি করার জন্য আবাসন প্রকল্পকে ২৫ ভাগ বনায়ন নিশ্চিত করতে বাধ্য করতে হবে। সবুজায়ন কম থাকার ফলে বায়ু দূষণের মাত্রা এখন অতিরিক্ত। নগরীর নদী ও খাল পাড় দখল মুক্ত করে স্থায়ীভাবে সবুজায়ন নিশ্চিত করা, প্রত্যেকের বাড়ির ছাদে ও বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সবুজায়ন বৃদ্ধি, ফুটপাত দখল মুক্ত করে দোকান ও বাসার সামনে গাছের টবের ব্যবস্থা করলে প্রায় ২ ভাগ সবুজায়ন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়া সরকারি পতিত জায়গায় পরিকল্পনা মাফিক বৃক্ষরোপণ করতে হবে। দখল করা পুকুর ও ডোবাকে দখলমুক্ত করে পরিকল্পনা মাফিক সবুজায়ন করা সম্ভব। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও সব সামাজিক সংগঠনকে সমন্বয় করে একযোগে কাজ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে নাগরিক সুবিধা সম্বলিত সিটি কর্পোরেশন জনগণের জন্য উপহার দেওয়া সম্ভব। কাউন্সিলরদের সবুজায়ন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি আরও বেশি জনবান্ধব হতে হবে।

সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক এম এ মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সদস্য মাহাদী হাসান মল্লিক, আয়োজক সংগঠনের পরিচালক অভিনেতা উদয় খান, উত্তরের সদস্য হাফিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আক্কাস আলী, আবুল কালাম আজাদ, সন্তোষ দাশগুপ্ত প্রমুখ।

বিবার্তা/রিয়াদ/জামাল