কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখল লাখো পর্যটক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪০
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখল লাখো পর্যটক
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে ভ্রমণে এসেছেন কয়েক লাখ পর্যটক। পর্যটকেরা বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সমবেত হয়েছেন সৈকতের বালিয়াড়িতে। প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে অনেকে নোনাজলে গা ভিজিয়েছেন। বছরের শেষ সূর্যাস্তকে পর্যটকেরা বন্দি করেছেন নিজ নিজ মোবাইল ও ক্যামরায়।


ইংরেজী বর্ষ বিদায় ও বরণকে কেন্দ্র করে আনন্দ উদযাপনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সমাগম ঘটে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের। প্রতিবছর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজন হত খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে ওপেন কনসার্টসহ নানা আয়োজন। আর এসব অনুষ্ঠান উপভোগে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে সমুদ্র সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তার অজুহাতে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই।


এতে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটক আগমনে কোন কমতি নেই। প্রতিবছর হোটেল-মোটেলে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আগাম বুকিং হয়।এ বছর তাই হয়েছে। এরপরও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছে। তবে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন না থাকলেও তারকামানের হোটেল-মোটেলগুলোতে সাজসজ্জার পাশাপাশি রয়েছে কনসার্ট, বুফে ডিনার ও রুম বুকিংয়ে বিশেষ ছাড়াসহ নানা আয়োজন।


টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে অনুমতি না পাওয়ায় পর্যটকের ভিড় সেখানে নেই।


হোটেল মোটেল সুত্র জানিয়েছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে তাদের হোটেলে স্পেশাল বুফে ডিনার এবং কালচারাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তারকা মানের হোটেল মোটেল গুলোতে বিভিন্ন ব্যান্ড সংগীতের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।



পর্যটন উদ্যোক্তা আমির হামজা বলেন, এবার নতুন বছরে পর্যটকের সংখ্যা মোটেই কম নয়। কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক রুম বুকিং দিয়েছেন।


কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি মুকিম খান বলেন, নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের বাড়তি চাপ রয়েছে। কিন্তু, এবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে সৈকতে কনসার্ট বা বড় কোনো অনুষ্ঠান না থাকায় পর্যটক আসার ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়ছে ঠিকই। তবে ওপেন কনসার্ট থাকলে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়তো।


ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।


জেলা প্রশাসক বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মো: শাহীন ইমরান বলেন, এ পর্যন্ত কোথায়ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।পর্যটকেরা নিবিঘ্নে সবকটি পর্যটক স্পটে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোন হোটেল ও রেস্তোরাঁ অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে এ ধরনের খবর পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


বিবার্তা/তাফহীমুল/বিএম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com