খাবার খেলে আসে ক্লান্তি, রেস্তোরাঁয় ঘুমানোর ব্যবস্থা!
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ১১:৫০
খাবার খেলে আসে ক্লান্তি, রেস্তোরাঁয় ঘুমানোর ব্যবস্থা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জর্ডানের জাতীয় খাবার মানসাফ। এই খাবার খেলে সাধারণত ক্লান্তি আসে। ফলে ঘুম আসে অনেকের। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জর্ডানের একটি রেস্তোরাঁ। তারা বলছে, মানসাফ খাওয়ার পর কারও ক্লান্তি এলে রেস্তোরাঁয় খানিকটা ঘুমিয়ে নিতে পারবেন। সে রকম ব্যবস্থা রয়েছে তাদের রেস্তোরাঁয়।


ভেড়ার মাংস, দই, ঘি দিয়ে এই মানসাফ তৈরি করা হয়। বেশ চর্বিযুক্ত এই খাবার রুটি বা ভাতের সঙ্গে খেতে দেওয়া হয়। এ কারণেই এই খাবার খেলে ঘুম আসে। ঘুম আসে বলে অনেকেই এই খাবার রেস্তোরাঁয় বসে খান না। এখান থেকে কিনে বাসায় নিয়ে খান।


যে রেস্তোরাঁয় এই খাবার খাওয়ার পর ঘুমানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, সেটি রাজধানী আম্মান থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে কারাক শহরে। এ রেস্তোরাঁর নাম মোয়াব।


কারাক শহরের ঘি বিখ্যাত। সেখানকার মানসাফও বিখ্যাত। সেখানকার মোয়াব রেস্তোরাঁর মালিকের ছেলে মুসাব মুবেইদিন বলেন, রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পর ঘুমানোর সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ হাসাহাসি হয়েছে।


তবে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছে না। গ্রাহকের কাছ থেকেই তাঁরা এমন ধারণা পেয়েছেন বলে জানান রেস্তোরাঁর মালিকের ছেলে মুসাব। তিনি বলেন, মানসাফ খাওয়ার পর এক গ্রাহক চোখ কচলাতে কচলাতে তাঁদের বলেছিলেন, ‘আপনারা রেস্তোরাঁয় বিছানা রাখেন না কেন।’ আরও অনেক গ্রাহক তাঁদের এমন কথা বলেছিলেন।


মুসাব বলেন, ‘এরপর আমরা রেস্তোরাঁয় বিছানা আনি এবং আরেকটি আলাদা সেকশন চালু করি। এর পর থেকে গ্রাহকেরা এসে মানসাফ খাচ্ছেন এবং কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে তারপর চলে যাচ্ছেন।’


রেস্তোরাঁয় যে ‘শোবার ঘরের’ ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা–ও বেশ আরামদায়ক। এই ঘর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং কোনো শব্দ সেখানে যায় না। মুসাব বলেন, যাঁরা মানসাফ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ। এখানে জর্ডানের ঐতিহ্যবাহী কফি পানের সুযোগও রয়েছে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com