যে উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রানের পাহাড়সম স্কোর করলো। সেই একই উইকেটে ব্যাট করতে এসে বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ৩৮ রান তুলতেই নেই চার চারটি উইকেট।

নিজেদের ইনিংস শুরু করতে নেমে কোনো রান না করেই সাজঘরের পথ ধরেছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৬ বল খেলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন কাগিসো রাবাদার বলে। একই বোলারের বলে প্রোটিয়া উইকেটকিপার কাইল ভেরেইনের ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়েছেন তিনে নামা জাকির হাসান (২)।

অন্য ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ক্যাচ দিয়েছেন সেকেন্ড স্লিপে। ফুলার লেংথে পড়ে বেরিয়ে যেতে থাকা বলে খোঁচা দিয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানেই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি। এমন বিপর্যয় দেখে ৫ নম্বরে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ক্রিজে এসেছিলেন হাসান মাহমুদ। তবে এই বোলারের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দিতে বেশি সময় নেননি কেশব মহারাজ।

আলোকস্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই দিনের খেলা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৩৭ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ দলকে যে ফলো-অন বা ইনিংস হারের শঙ্কা কিছুটা হলেও জেঁকে ধরেছে, তা বলাই বাহুল্য।

এর আগে, টস জিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তিন সেঞ্চুরিতে ৫৭৫ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি ডে জর্জি (১৭৭), ট্রিস্টান স্টাবস (১০৬) এবং উইয়ান মাল্ডাররা (১০৫) বাংলাদেশের বোলারদের ‘শাসন’ করে দলকে বড় স্কোর এনে দিতে ভূমিকা রাখেন।

উল্লেখ্য, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ঢাকায় সাত উইকেটে হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। সিরিজে সমতা আনতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই।

বিবার্তা/এনএইচ