
বড় মঞ্চে দুর্দান্ত শুরু করে শেষ বেলায় খেই হারিয়ে সেমিফাইনালেই থেমে যেতে হলো রশিদ খানদের দৌড়। আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। যে কোনো বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠতে পারলো প্রোটিয়ারা।
এর আগে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে রশিদ খানের দল। ত্রিনিদাদে ব্যাট করতে নেমে বাস্তবতা টের পায় আফগানরা। প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে পুরোপুরি খেই হারিয়ে বসে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা এবং তাবরিজ শামসির তোপের মুখে পড়ে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের ব্যাটাররা মোটেও দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়া বোলারদের সামনে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই সর্বোচ্চ ১০ রান করেন। আর কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লেখালো দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশেষে তাদের নামের পাশ থেকে ঘুচলো চোকার্স তকমা।
গ্রুপ পর্ব এবং সুপার এইটে যেভাবে খেলেছে আফগানরা, সেমিফাইনালে তার ছিটেফোটাও দেখাতে পারলো না। ত্রিনিদাদের উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে সেটাও হয়তো ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেনি। যে কারণে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নেয় তারা।
কিন্তু ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলে মার্কো ইয়ানসেনকে উইকেট দিয়ে আসেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। রিজা হেন্ডরিক্সের হাতে ক্যাচ দেন কোনো রান না করেই। এরপর গুলবাদিন নাইব (৯), ইবরাহিম জাদরান (২), মোহাম্মদ নবি (০)- একে একে আউট হতে থাকেন। নানগেয়ালিয়া খারোত ৭ বলে করেন ২ রান। আজমত উল্লাহ ওমরজাই ১০, করিম জানাত ১৩ বলে ৮ রান করে আউট হন।
রশিদ খান ৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৮ রান করে নরকিয়ার বলে বোল্ড হয়ে যান। নুর আহমদ আউট হন কোনো রান না করেই। সর্বশেষ নাভিন-উল হক এলবিডব্লিউ আউট হতেই শেষ হয়ে যায় সেমিফাইনালে আফগানদের ব্যাটিং দৌড়।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]