মোহাম্মদ সিরাজের ঝড় চলছেই। তাতে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৪ রান খরচ করে ফাইফার বা ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন ভারতীয় এই পেসার। সিরাজ-হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিং তোপে ৫০ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকার ইনিংস।
এ পর্যন্ত এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কা। রোহিত শর্মার দল আসরের হট ফেভারিট হলেও এশিয়া কাপে লঙ্কানদের ইতিহাসটাও বেশ সমৃদ্ধ। ১৫ আসরের ১২টিতে ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কা। যেখানে ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লঙ্কানরা। বিপরীতে ১০ বার ফাইনাল খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তারা শিরোপা জিতেছে ৭ বার। এই আসরের ফাইনালে নবমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছে এই দুই প্রতিপক্ষ। ৫১ রান করতে পারলেই ৮ম বারের মতো এশিয়া ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়বে ভারত।
১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার ফাইনালের জন্য টস হয় বাংলাদেশ সময় ৩টা নাগাদ। ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। সাড়ে ৩টা নাগাদ খেলতে নামার কথা ছিল দুদলের । ফাইনাল ম্যাচে টস হওয়ার পরপরই আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। এরপর শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। ফলে খেলা বন্ধ থাকে ৪০ মিনিটের মতো।
খেলা শুরু হলে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনিংসের তৃতীয় বলে তাকে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা (২ বলে ০)।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিরাজ-ঝড়। নিজের প্রথম ওভার মেইডেন দিয়ে শুরু করেছিলেন সিরাজ। পরের ওভারে এসেই তিনি দেখিয়েছেন ভয়ংকর রূপ। একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন লঙ্কান ৪ ব্যাটারকে।
ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে এসেই শানাকাকে বোল্ড করে নিজের ফাইফার পূরণ করেন। বলের হিসেবে এটি চামিন্দা ভাসের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার সমান ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক লঙ্কান পেসার।
শেষ পর্যন্ত ৭ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ২১ রানে ৬টি উইকেট নেন সিরাজ। হার্দিক পান্ডিয়া ৩ রানে নেন ৩ উইকেট। ২৩ রানের খরচে বুমরাহ বাকি একটা উইকেট নিলে ৫০ রানে থামে শ্রীলংকার ইনিংস।
বিবার্তা/পুলক/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]