জুমার দিন গুনাহ মাফ ও দোয়া কবুলের সময়
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬
জুমার দিন গুনাহ মাফ ও দোয়া কবুলের সময়
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জুমার দিন সাপ্তাহিক ঈদের দিন। মুসলমানরা এ দিনে একত্র হয় মসজিদে। এ সময় তাদের মাঝে পরস্পর মতবিনিময় হয় এবং তৈরি হয় সেতুবন্ধন । এদিন মুসলামানদের জন্য বিশেষ সুযোগ। এ দিন ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করতে পারেন তারা। এ দিনের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক।


কোরআন-হাদিসে শুক্রবার শ্রেষ্ঠত্ব হওয়ার কথা পাওয়া যায়, হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, সূর্য যে সব দিন উদিত হয় অর্থাৎ দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন হল জুমার দিন। এই দিন আদম আলাইহিসসালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও সংঘটিত হবে এ দিনেই। (সহিহ মুসলিম, হাদিস:৮৫৪-মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৯৪০৯)


এমনকি জুমার দিনের প্রতি মুহুর্তেরই আলাদা শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। এদিনের আছরের পর কেউ যদি আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করে আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া কবুল করে নেন। হাদিসে এসেছে, জুমার দিনে ১২ টি সময় রয়েছে, এ সময়ে কেউ আল্লাহ তায়ালার কাছে কোন কিছু কামনা করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সেটা দান করেন। সুতরাং আছরের পর তোমরা সে সময়টি তালাশ করো। (আবু দাউদ, হাদিস:১০৪৮)


এছাড়া জুমার দিনে আসরের নামাজের পর ৮০ বার নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তায়ালা তার জীবনের ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন।


আরবি উচ্চারণ: اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسَلِّم تَسْلِيْمَا বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।


এখান থেকে অনেকে আপত্তি করে থাকেন যে, ৮০ বছর যাদের হয় নাই তাদের কী হবে,বর্তমানে ৮০ বছরের মানুষ পাওয়া-তো খুবই দুষ্কর ও দূর্লভ?


এ আপত্তির নিরসনে হাদিস বিশারদগণ বলেন, ৮০ বছর না পেলেও আল্লাহ তায়ালা তার জীবনের অন্যান্য গুনাহ মাফ করে দিবেন। আর যদি কারও গুনাহ-ই না থাকে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। তারা এ-ও বলেন যে,এখানে গুনাহ দ্বারা ছগিরা তথা ছোট গুনাহ উদ্দেশ্য।


এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিন সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বলেন, এ দিনে এমন একটি মুহুর্ত রয়েছে, যে কোন মুসলিম বান্দা যদি এ সময় নামজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর নিকট কিছু প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাকে অবশ্যই তা দিয়ে থাকেন এবং তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন যে, সে মুহুর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। (বোখারি শরিফ, হাদিস :৯৩৫)


এ হাদিসে কোন সময় উদ্দেশ্য-এ নিয়ে মুহাদ্দিসগণ বিভিন্ন ব্যাখ্যা করে থাকেন। কেউ বলেন, খতিব সাহেব মিম্বরে বসার পর থেকে নামাজ শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। কেউ বলেন, আসরের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত। এ মতটিই অধিক সঠিকতার নিকটবর্তী। (ফতহুল বারি খন্ড:২, পৃষ্ঠা :৪৮২-৪৮৩


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com