পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম অজু। নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, স্পর্শ এবং এ জাতীয় ইবাদত পালনের জন্য অজু করা আবশ্যক। অজু ছাড়া এই ইবাদতগুলো পালন করা যায় না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদের এমন কাজ জানাব না, যা করলে আল্লাহ (বান্দার) পাপগুলো দূর করে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন? লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি বলুন। তিনি বললেন, অসুবিধা ও কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদে আসার জন্য বেশি পদচারণ করা এবং এক সালাতের পর আর এক সালাতের জন্য প্রতীক্ষা করা; আর এ কাজগুলো হলো সীমান্ত প্রহরার স্বরূপ। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৭৫)
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য অজু করতে হয়। তবে কারো একবার অজু করার পর সেই অজু নষ্ট না হলে এর মাধ্যমে একাধিক নামাজ পড়া যাবে। তবে অজু থাকলেও প্রত্যেক নামাজে রাসুলুল্লাহ (সা.) নতুন করে অজু করে নিতেন। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম অজু না ভাঙা পর্যন্ত এক অজুতে কয়েক ওয়াক্ত সালাত আদায় করতেন।
তবে মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) এক অজুতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছিলেন। সুতরাং অজু থাকলে এক অজুতে একাধিক নামাজ পড়া জায়েজ আছে। তবে নতুন করে অজু করে নেওয়া উত্তম।
এ বিষয়ে হজরত আমর ইবন আমির আনসারি (রহ.) বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক (রা.)-কে বলতে শুনেছি, নবী (সা.) প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তে নতুন করে অজু করতেন। আমি আনাস (রা.)-কে প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করেন? তিনি বলেন, আমাদের অজু নষ্ট না হলে একই অজুতে আমরা সব ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে নিই। (তিরমিজি, হাদিস : ৬০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) একই অজুতে সব নামাজ আদায় করার কথাও হাদিসে এসেছে। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রা.) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি (বুরাইদা) বলেন, নবী (সা.) প্রতি ওয়াক্তের নামাজের জন্য নতুনভাবে অজু করতেন। তিনি মক্কা বিজয়ের দিন একই অজু দিয়ে সব ওয়াক্তের নামাজ আদায় করলেন এবং মোজার ওপর মাসাহ করলেন।
উমর (রা.) বলেন, আপনি এমন একটি কাজ করলেন, যা এর আগে কখনো করেননি। রাসুল (সা.) বলেন, আমি ইচ্ছা করেই (উম্মতের সুবিধার জন্য) এটা করলাম। (তিরমিজি, হাদিস : ৬১)
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]