শিরোনাম
বাঙালি জাতির সত্যিকারের বন্ধু ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০১৯, ২২:৫৯
বাঙালি জাতির সত্যিকারের বন্ধু ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’
খন্দকার হাবীব আহসান
প্রিন্ট অ-অ+

পিতা এবং বন্ধু এ সম্পর্ক দুইটি আমাদের জীবনে অত্যন্ত দায়িত্ববোধ, আবেগ, ভালবাসা ও শ্রদ্ধার জায়গা দখল করে থাকে। পিতা তিনিই যিনি আপনাকে জন্ম দিয়েছেন, আপনাকে লালন পালন করেছেন কোনো স্বার্থ ছাড়াই। আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনাই তার সার্বক্ষণিক চিন্তা চেতনা। আর যে মানুষটির সাথে স্বার্থ ছাড়ায় একটি ব্যক্তিগত আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসার জায়গা প্রাকৃতিক নিয়মেই তৈরি হয় তিনি আপনার প্রকৃত বন্ধু, সুখের সময় অপেক্ষা বিপদের সময় পাশে থাকাটা সত্যিকারের বন্ধুত্ব।


সর্বোপরি পিতা এবং বন্ধু এ সম্পর্ক দুইটির মধ্যে একটি সাধারণ মিল লক্ষ করা যায়, তাহলো- দুটি সম্পর্কই নিঃস্বার্থ ভালবাসা, দায়িত্ববোধ, বিশ্বাসের জায়গা দখল করে থাকে। এমন একজন মানুষ যার ৫৫ বছরের জীবদ্দশায় অসংখ্যবার কারাবরণ করেছেন একটি দেশের জন্য, দেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। ব্যক্তি স্বার্থকে তুচ্ছ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় যিনি ছিলেন আপোষহীন। নিজের জীবনকে যিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।


যে মানুষটি দেশের ক্রান্তিকালে অভিভাবকের ভূমিকায় থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যে ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনসাধারণ দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। একটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে যিনি অসীম সাহসিকতা দেখিয়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্ম দিলেন দেশটির নাম বাংলাদেশ। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মহান বন্ধু, এমন শ্রেষ্ঠ পিতা একজনই, যিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


তৎকালীন সময় পশ্চিম জার্মানি পত্রিকায় লেখা হয়েছিল, শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুইয়ের সাথে তুলনা করা যায়। জনগণ তার এত প্রিয় ছিল যে লুই-এর মত তিনি এ দাবি করতেই পারেন আমিই রাষ্ট্র। সত্যিকারে শেখ মুজিবুর রহমান একটি চেতনার নাম, একটি জাতির মায়া মমতা, শ্রদ্ধা,ভালবাসায় পূর্ণ একটি নাম। যে নাম শুনলেই এ দেশের ক্ষুধার্ত মানুষের অন্ন পাবার আশা জাগে, অসহায় মানুষেরা সহায় পাবার আশা সঞ্চারিত হয়, গোটা বাঙালি জাতি অভিভাবকের ছায়াতলে থাকার আশ্বাস পায়।


বর্তমান সময় সবচেয়ে হতাশার কথা যে, তরুণ সমাজের অধিকাংশরাই বঙ্গবন্ধুকে নামে চিনে, তার সম্পর্কে হয়ত দু’চারটি কথা জানে। তবে কম জানে বলে যে সম্মান করে না তা নয় কিন্তু সেটা স্রোতের তালের মত। ৭৫থেকে ৯৬ মধ্যবর্তী সময়ে যে স্রোতটা ছিল না। এটা সাম্প্রতিক সময়ের স্রোত। জাতির একজন অবিসংবাদিত নেতার সম্পর্কে এমন ধোঁয়াশা জ্ঞান নিয়ে তরুণ সমাজের বেড়ে ওঠার ফলাফল খুবই ভয়ানক। মনে রাখা দরকার, এটি সেই প্রজন্ম যে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ না দেখে জন্ম নেয়া প্রথম প্রজন্ম। যেখানে ধোঁয়াশা ধারনার স্থান থাকলে পরবর্তী প্রজন্মে তা বিকৃত রূপ ধারণ করবে। যদি বর্তমান সময়ের এই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা তৈরি করতে না পারা যায়, তবে যেকোনো ভ্রান্ত ধারনার জায়গা তাদের ভেতর স্বাধীনতা বিরোধী ইতিহাস বিকৃতি-কারীরা তৈরি করতে সক্ষম হবে।


জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালীন বঙ্গবন্ধু চেতনার উপর ভর করে সমস্যা উত্তরণ করার চেয়ে বিশৃঙ্খলা আরো বাড়ায়ে সমগ্র জাতি আবারো হয়তো নানা ভাগে বিভক্ত হবে। এটি একটি জাতির চূড়ান্ত ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। বর্তমানের তরুণ সমাজকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলছি যেখানে নিম্নশ্রেণির পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা সন্তানেরা সার্টিফিকেট শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অবস্থার উন্নতি করার জন্য দিশেহারা। অন্যদিকে মধ্যবিত্ত শ্রেণি, উচ্চবিত্ত জীবনযাপনের নেশায় দেশীয় শিল্প সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত হয়ে এমন এক সংস্কৃতির চর্চা করছে, যা শুধু ক্ষতিকর না বিরক্তিকরও বটে। আর উচ্চবিত্ত শ্রেণির সন্তানেরা পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চর্চায় ব্যস্ত, তারা হয়ত জানেই না ২১শে ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর কি, সেখানে বঙ্গবন্ধুর চেতনার আলো পৌঁছিয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।


যে মানুষগুলোর পকেটে একটু পয়সা হলেই পেটের বাচ্চাকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়িয়ে বিদেশে সিটিজেন নেয়ার স্বপ্ন দেখায়। তাদের দিয়ে সোনার বাংলা গড়া দূরে থাক বরং ধ্বংস হবে।


পৃথিবীর ইতিহাসে প্রত্যেকটি উন্নত জাতি তাদের কোনো এক বিপ্লবের বিপ্লবী অবিসংবাদিত নেতার চেতনায় উন্নত হয়েছে। আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, আধুনিক চিনের মাও সে তুং, রাশিয়ার লেলিন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- স্বাধীনতা অর্জনের ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা বঙ্গবন্ধুকে সার্বজনীনভাবে চেতনায় ধারণ দূরে থাক, দেয়াল থেকে ছবিটিও নামিয়ে রাখি। যদি চিন্তা করেন এভাবে নাম শুনিয়ে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে তরুণ সমাজের চেতনায় রূপ দিবেন, তাহলে সে ধারনা ভুল হবে।


এভাবে যে চেতনা গড়ে উঠবে, সে চেতনায় হিজবুত তাহরীর, আইএসএস বা জামায়াতের চেতনার চাক বাধা সম্ভব, যে চাকের মধু ঐ স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আহরণ করবে; এটাই বাস্তবতা। বিশেষ কোনো দিবসকে আর আগস্টকে ভিত্তি করে জাতির পিতাকে চেতনায় লালন করা যাবে না। প্রত্যহ ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যদি আপনার কাজ-কর্ম, কথা-বার্তায় সততা, নিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশপ্রেম ও ইতিবাচক ভাবধারা থাকে তাহলেই বুঝবেন আপনিই সোনার বাংলা গঠনে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার সন্তান।


বঙ্গবন্ধু চেতনা সেটি আপনি যখন উপলব্ধি করবেন এদেশ আপনার, এদেশের মানুষ আপনার আত্মীয়, বাংলা হলো রক্ত দিয়ে অর্জিত আপনার মায়ের ভাষা, কলকারখানা, খেত খামারে খেটে খাওয়া মানুষগুলোই সোনার বাংলার কারিগর ঐ মুজিব কোর্টই আপনার স্বকীয়তা। ত্যাগ, সাধনা ছাড়া দেশকে গড়া যাবে না। সবুর করতে হবে। একদিনে সোনার বাংলা গড়তে পারবো না। এ দেশের নাম শুনে নাক শিটকিয়ে বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সোনার বাংলা গড়া যাবে না।


যেদিন আপনি উপলব্ধি করবেন জারি, সারি, ভাটিয়ালীই আপনার প্রাণের সংগীত, পাশ্চাত্যের পোশাকে নয় দেশিয় খাদি, মসলিন, সুতি পোশাকই আপনি আরাম পাচ্ছেন, সেদিন বুঝবেন আপনি বঙ্গবন্ধু চেতনাকে ধারণ করছেন, দেশপ্রেম বুকে লালন করছেন। বুঝতে শিখেই যে শিশু লাল পিপড়া কালো পিপড়াকে সাম্প্রদায়িকতার চশমা লাগিয়ে দেখতে শেখে, সে জাতি কিভাবে অসাম্প্রদায়িক হবে তা আমাদের জানা নেই।


বঙ্গবন্ধুকে পুরাটা না চিনে আংশিক চেনা ব্যাপারটা অনেকটা অসুস্থ রোগীর এন্টিবায়োটিক ডোজের মতো। যেখানে আপনি পুরো ডোজ সম্পূর্ণ না করলে ফলাফল শূন্য পাবেন বরং রোগীর অবস্থা আরো ভয়ানক হবে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন, অধিকার আদায়ে ছিলেন বিপ্লবী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্বও হারিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে।


উপমহাদেশে ১৯৪৭ এ ভারত বিভাজন পরবর্তী সময়ের এই ছাত্রনেতা, সমাজতন্ত্রের পক্ষ প্রদর্শনকারী এই তুখোড় বক্তা পূর্ব পাকিস্তানের অধিকারবঞ্চিত, নিপীড়িত নির্যাতিত অসহায় মানুষের জন্য সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলেন। জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ছয় দফা প্রস্তাব করেছিলেন, তা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।


৭ কোটি বাঙালির অধিকার আদায়ের আকাঙ্ক্ষা ছিল, পূর্ব বাংলার নির্যাতিত মানুষের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল, স্বাধীন একটি মাতৃভূমির জন্য স্বপ্ন দেখার সময় এসেছিল, বাঙালিদের নেতৃত্ব দেয়ার পথে বাধা এসেছিল, শাসন-শোষণে পিষ্ট বাঙালিদের অভিভাবকের দরকার হয়েছিল। ২৩শে জুন এই বাংলার মানুষের নেতৃত্ব দিয়ে নিপীড়িত মানুষের অভিভাবকত্ব করার জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য প্রাণের উচ্ছ্বাস আর ভালবাসা নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের হাত ধরে যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল।


এই আওয়ামী লীগ পরবর্তীতে ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯ এ নেতৃত্ব দিয়ে ৭০ এর নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করলেও সরকার গঠনের সুযোগ দেয়া হয়নি। পূর্ববাংলার আকাশে যখন কালমেঘের ঘনঘটা দেখা দেয় তখন অসহায় এই বাঙালিদের নেতৃত্বের দিগন্তে নক্ষত্র স্বরূপ আবির্ভূত এই মহানায়ক ৭ই মার্চে স্বাধীনতার ডাক দিলে বাঙালি জাতি সাম্প্রদায়িকতার শেকল ভেঙে আপামর জনতা সকলেই গর্জে ওঠে। ২৫শে মার্চ পাকিস্তানী ঘৃণ্য কাপুরুষেরা আকস্মিক আক্রমণ করে ঢাকায় গণহত্যা চালায়।


বঙ্গবন্ধু এই আশাহত বাঙালিদের বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তাদের দুর্বার সাহস যোগান। সেই সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখান। তাকে আটক করে পাকিস্তানি কারাগারে রাখা হয়। তিনি বন্দী হলেও তার নেতৃত্বের ইশারায় বাঙালি জাতি হাল না ছেড়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে যে রাষ্ট্রের জন্ম হয় সেটি হলো বাংলাদেশ আর তার পিতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


একটি দেশের মানুষের জন্য কতটুকু ভালবাসা থাকলে ৭১-এ ধর্ষিত নারীদের পিতার নামের জায়গার তার নিজের নাম লিখে দিতে বলেন বাঙালির এই অবিসংবাদিত নেতা।


১০ই জানুয়ারি ৭২ এ তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত দৈনিক গার্ডিয়ানে বলা হয়, শেখ মুজিব ঢাকা বিমান বন্দরে পদার্পণ করা মাত্র নতুন প্রজাতন্ত্র এক সুদৃঢ় বাস্তবতা লাভ করে। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে। তাকে হত্যাকারী কাপুরুষেরা জানতো না যে ব্যক্তিকে হত্যা করে তার আদর্শকে সমাহিত করা যায় না। আজও সেই স্বাধীনতা বিরোধীরা কখনো জঙ্গি বেশে, কখনো আইএস বেশে, কখনোবা জামাত বেশে এ দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষদের ওপর নির্যাতন চালানোর অপচেষ্টা করছে।


ষড়ঋতুর এই দেশে শীত যায় গ্রীষ্ম আসে, কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী অশক্তি আজো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার পায়তারা কর। তারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মিথ্যা নাটক সাজায়। মোসাদ, আইএস’র সাথে যোগসাজশ করে নিরীহ মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় এসে এ দেশকে আফগান বানানোর স্বপ্ন দেখে। বঙ্গবন্ধু যথার্থই বলেছিলেন আমি বিশ্বাস করি না বন্দুকের নলে, আমি বিশ্বাস করি ক্ষমতা বাংলার জনগণের কাছে।


এই বাংলার মানুষ ঐ সকল ষড়যন্ত্রকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিহত করতে প্রস্তুত, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ। মানুষ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশীদার, দেশরত্নের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি উন্নত ও আধুনিক সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখে।


বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা চাই মানুষ সুখী হোক। গরীব, দুঃখী, বড়, ছোট সবাই পেট ভরে ভাত খাবে তাহলেই তো আমাদের স্বাধীনতা সার্থক হবে। যারা আত্মত্যাগ করেছে, রক্ত দিয়েছে তাদের আত্মা শান্তি পাবে। এ দেশের গরীব, দুঃখী, ছোট বড় সবাই এখন পেট ভরে ভাত পায়। এ দেশের মানুষ সুখে আছে, আমাদের স্বাধীনতা সার্থক হয়েছে।


বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথা বাংলার মানুষের সোনার বাংলা গড়ার জন্য অমিয় বানী। মুক্তিযুদ্ধের অতীত সময়ে তিনি যেমন বাঙালি জাতির পরাধীনতার শেকল ভেঙে স্বাধীন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছিলেন, তেমনি তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ দেশের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টিকারী, আজীবন দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের নীল নকশাও অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। দেশীয় ভাষা, সংস্কৃতি প্রিয় জনপ্রিয় এই নেতা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন ছিলেন বিপ্লবী তেমনি স্বনির্ভর দেশ গঠনে, ব্যবসা, কৃষি ও পররাষ্ট্রনীতিতে চৌকস।


সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের ব্যক্তিজীবন, সমাজজীবনের সকল প্রতিবন্ধকতাই বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্তিজীবনে যেমন ছিলেন একজন আদর্শবান অভিভাবক, সমাজজীবনে সুনাগরিক, তেমনি রাজনৈতিক জীবনেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন নেতা। তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির পিতা, চেতনার উৎস, স্বাধীনতার ঘোষক, বাঙালির বুকের ভালবাসার স্রোতে সদা বহমান। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণই মূলত বাঙালি জাতিকে জাগ্রত করেছিলো, স্বাধীন এই বাংলাদেশ জন্ম দিতে জীবন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। আজকের এই দিনে শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জাতির এই মহানায়ককে।


লেখক- খন্দকার হাবীব আহসান
সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


বিবার্তা/আহসান/মাইকেল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com