মৌলভীবাজার-২ আসনে কখনও জয়ের ধারের কাছেও আসতে পারেনি ধানের শীষ প্রতীকের কোনো প্রার্থী। কিন্তু এবার এই আসনে ধানের শীষের প্রতীকে বিজয়ী হয়ে বাজিমাত করলেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।
এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মোট ৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে সুলতানের ধানের শীষ নিয়ে পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৪২ ভোট। নৌকা নিয়ে শাহীন পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১৭০ ভোট।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। এ কারণে জীবনের বড় একটা সময় তাকে কাটাতে হয়েছে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ে, আত্মগোপনে।
১৯৮৯ সালে ডাকসুর ভিপি পদে তার বিজয় ছিল ’৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের প্রথম আনুষ্ঠানিক কোনো জয়। তার নেতৃত্বে '৭৫-এর পর প্রথম বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থান পায় ডাকসু ভবনে।
এবারের নির্বাচনী মাঠে হামলা-মামলায় শতশত কর্মী গ্রেফতারের পরও মনোবলে ভাঙন ধরেনি সুলতানের। যে আসনে কখনও জয়ী হতে পারেনি ধানের শীষ সে আসনে ধানের শীষ নিয়ে শেষ হাসি হাসলেন সুলতান মনসুর।
১৯৯৬ সালে সুলতান মনসুর নৌকা প্রতীক নিয়ে এখান থেকে এমপি হয়েছিলেন, যা ছিল নৌকার সর্বশেষ জয়। এরপর কখনও জয় পায়নি নৌকা। কখনও জিতেনি ধানের শীষ।
১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিতর্কিত একদলীয় নির্বাচনে ধানের শীষের জয় দেখানো হলেও নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী তা স্বীকৃতি পায়নি। কখনও জয় না পাওয়া এ আসনে সুলতান মনসুরের ওপর ভর করে এবার ধানের শীষ চমক দেখিয়েছেন এমনটি বলছেন স্থানীয় ভোটাররা। কারণ, সুলতান মনসুরের ব্যক্তিগত ইমেজের ওপর ভর করে এখানের মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন।
২০০৮ তে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাননি সুলতান। সে নির্বাচনে সুলতানবিহীন নৌকা পেয়েছিল মাত্র ২ হাজার ভোট।
বিজয়ী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, আমি জনগণের ওপর আস্থাশীল ছিলাম। আমার বিশ্বাস, সব দলের লোক আমাকে ভোট দিয়েছে কারণ, আমি কেমন মানুষ এ এলাকার প্রতিটি মানুষ জানে। এত কারচুপি না হলে ভোটের ব্যবধান ৭০-৮০ হাজার হত।
বিবার্তা/হাসান/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]