একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী ছাড়াও দেড় শতাধিক আসনে প্রার্থী থাকছে জাতীয় পার্টির। এর মধ্যে ২৯টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রবিবার বিকালে জাতীয় পার্টি পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে দলের চূড়ান্ত মনোনীতদের তালিকা দেয়া হয়।

জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির ২৯ জন ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া ১৩২ জন প্রার্থী উন্মুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

তিনি বলেন, মহাজোটের সাথে আলোচনা করেই জাতীয় পার্টির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাই মহাজোটে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রাঙ্গা।

যেসব আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী যারা

ঢাকা বিভাগ
ঢাকা-২ শাকিল আহমেদ শাকিল, ঢাকা-৭ তারেক আহমেদ আদেল, ঢাকা-৮ মোহাম্মদ ইউনুস আলী আকন্দ, ঢাকা-১০ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১১ এস.এম. ফয়সল চিশতী, ঢাকা-১২ নাসির উদ্দিন সরকার, ঢাকা-১৩ শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ঢাকা-১৪ মোস্তাকুর রহমান, ঢাকা-১৫ মোহাম্মদ শামসুল হক, ঢাকা-১৯ কাজী আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা-২০ খান মোহাম্মদ ইস্রাফিল; গাজীপুর-৩ আফতাব উদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর-৫ রাহেলা পারভীন শিশির, নরসিংদী-১ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, নরসিংদী-২ মোহাম্ম আজম খান, নরসিংদী-৩ আলমগীর কবির, নরসিংদী-৪ মোহাম্মদ নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, নরসিংদী-৫ এমএ সাত্তার; নারায়ণগঞ্জ-১ আজম খান; টাঙ্গাইল-৪ সৈয়দ মোস্তাক হোসেন রতন, টাঙ্গাইল-৭ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জহির; কিশোরগঞ্জ-৬ নুরুল কাদের সোহেল; মানিকগঞ্জ-৩ জহিরুল আলম রুবেল; মুন্সিগঞ্জ-১ শেখ সিরাজুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ-৩ গোলাম মোহাম্মদ রাজু; রাজবাড়ী-১ আক্তারুজ্জামান হাসান, রাজবাড়ী-২ এবিএম নুরুল ইসলাম; শরিয়তপুর-৩ মোহাম্মদ আবুল হাসান

চট্টগ্রাম বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে কাজী মামুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ তারেক এ আদেল; কুমিল্লা-১ মোহাম্মদ আবু জায়েদ আল মাহমুদ, কুমিল্লা-২ আমির হোসেন, কুমিল্লা-৩ আলমগীর হোসেন, কুমিল্লা-৪ ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৫ তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ লুৎফর রেজা, কুমিল্লা-৮ নুরুল ইসলাম মিলন, কুমিল্লা-৯ এটিএম আলমগীর, কুমিল্লা-১১ খায়ের আহমেদ ভূঁইয়া; চাঁদপুর-১ এমদাদুল হক, চাঁদপুর-২ এমরান হোসেন মিয়া, চাঁদপুর-৪ মাইনুল ইসলাম; নোয়াখালী-১ আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক, নোয়াখালী-২ হাসান মঞ্জুর, নোয়াখালী-৩ ফজলে এলাহী সোহাগ, নোয়াখালী-৪ মোবারক হোসেন, নোয়াখালী-৫ সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালী-৬ নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ বায়জিদ; লক্ষ্মীপুর-১ আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর-৪ আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী; চট্টগ্রাম-২ জহুরুল ইসলাম রেজা, চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল কবির, চট্টগ্রাম-৮ ফাতেমা খুরশীদ সোমাইয়া, চট্টগ্রাম-১২ মো. নুরুচ্ছফা সরকার, চট্টগ্রাম-১৪ আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ; খাগড়াছড়ি আসনে সোলায়মান আলম শেঠ, রাঙ্গামাটি আসনে এএকে পারভেজ তালুকদার।

রংপুর বিভাগ

রংপুর-২ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শাবলু, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর; কুড়িগ্রাম-৩ আক্কাস আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-৪ আশরাফ উদ দৌলা; গাইবান্ধা-৩ দিলারা খন্দকার শিল্পী; পঞ্চগড়-১ আবু সালেক, পঞ্চগড়-২ লুৎফর রহমান রিপন; ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন; দিনাজপুর-১ শাহীনুর ইসলাম, দিনাজপুর-২ জুলফিকার হোসেন, দিনাজপুর-৪ মোনাজাত চৌধুরী, দিনাজপুর-৫ সোলায়মান সামী, দিনাজপুর-৬ দেলোয়ার হোসেন; নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী; লালমনিরহাট-১ খালেদ আখতার; গাইবান্ধা-৪ কাজী মোঃ মশিউর রহমান, গাইবান্ধা-৫ এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু।

ময়মনসিংহ বিভাগ

শেরপুর-১ আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন, শেরপুর-৩ মোহাম্মদ আবু নাসের; জামালপুর-১ আব্দুস সাত্তার, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-৩ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুর আহাদ হেলাল; ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৬ ডা. কে আর ইসলাম, ময়মনসিংহ-৯ হাসনাত মাহমুদ তালহা; নেত্রকোণা-৩ জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া।

রাজশাহী বিভাগ

জয়পুরহাট-১ আ স ম মোক্তাদির তিতাস, জয়পুরহাট-২ কাজী মোহাম্মদ আবুল কাশেম; বগুড়া-৪ হাজী নুরুল আমিন বাচ্চু, বগুড়া-৫ তাজ মোহাম্মদ শেখ; নঁওগা-১ আকবর আলী কালু, নঁওগা-২ মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, নওগাঁ-৩ আসনে তোফাজ্জল হোসেন, নঁওগা-৪ আসনে এনামুল হক; রাজশাহী-২ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহী-৫ মোহাম্মদ আবুল হোসেন, রাজশাহী-৬ ইকবাল হোসেন, নাটোর-১ মোহাম্মদ আবু তালহা, নাটোর-২ মুজিবুর রহমান সেন্টু, নাটোর-৩ আনিসুর রহমান; সিরাজগঞ্জ-৩ আলমগীর হোসেন; পাবনা-১ সরদার শাহজাহান, পাবনা-৫ আব্দুল কাদের খান।

খুলনা বিভাগ

খুলনা-১ সুনীল শুভ রায়, খুলনা-৪ হাদিউজ্জামান, খুলনা-৫ মোহাম্মদ শহীদ আলম, খুলনা-৬ শফিকুল ইসলাম মধু; সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত্, সাতক্ষীরা-৪ আব্দুস সাত্তার মোড়ল; মেহেরপুর-১ আব্দুল হামিদ, মেহেরপুর-২ কেতাব আলী; কুষ্টিয়া-১ শাহারিয়ার জামিল, কুষ্টিয়া-৪ আশরাফুল সোলাইমান;
চুয়াডাঙ্গা-১ অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন; যশোর-২ এবিএম সেলিম রেজা, যশোর-৩ জাহাঙ্গীর হোসেন, যশোর-৪ জহুরুল হক, যশোর-৫ এমএ হালিম, যশোর-৬ মাহাবুব আলম; মাগুরা-১ হাসান সিরাজ; নড়াইল-১ মিল্টন মোল্লা, নড়াইল-২ খন্দকার ফায়েকুজ্জামান; বাগেরহাট-৩ সেকেন্দার আলী মনি, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দে।

বরিশাল বিভাগ

বরগুনা-২ মিজানুর রহমান মল্লিক; পটুয়াখালী-৩ সাইফুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৪ আনোয়ার হোসেন; ভোলা-১ কেফায়েত উল্লাহ নজিব, ভোলা-৩ নুরুন্নবী সুমন; বরিশাল-২ সোহেল রানা, বরিশাল-৫ একেএম মর্তুজা আবেদীন; ঝালকাঠি-১ এমএ কুদ্দুস খান, ঝালকাঠি-২ এমএ কুদ্দুস খান; পিরোজপুর-১ নজরুল ইসলাম।

সিলেট বিভাগ

সুনামগঞ্জ-৫ নাজমুল হুদা, সিলেট-১ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন; সিলেট-৩ ওসমান আলী, সিলেট-৪ আহমেদ তাজ উদ্দিন তাজ রহমান; মৌলভীবাজার-২ মাহাবুবুল আলম শামীম; হবিগঞ্জ-১ আতিকুর রহমান, হবিগঞ্জ-২ শংকর পাল, হবিগঞ্জ-৩ আতিকুর রহমান।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হয়ে জাতীয় পার্টির ২৯ জন প্রার্থী ভোটে লড়াই করবেন।

তারা হলেন: নীলফামারী-৩ মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, রংপুর-১ মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, কুড়িগ্রাম-১ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, বগুড়া-৭ আলতাফ আলী, বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা, পিরোজপুর-৩ রুস্তম আলী ফরাজী, টাঙ্গাইল-৫ শফিউল্লাহ আল মুনির, ময়মনসিংহ-৪ বেগম রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্নু, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, সিলেট-২ ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ জিয়াউল হক মৃধা, ফেনী-৩ লে.জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর-২ মোহাম্মদ নোমান, চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বিবার্তা/জাকিয়া