শিরোনাম
ভোটচুরির দায়িত্ব পেয়েছেন ১২ পুলিশ কর্মকর্তা: রিজভী
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৪১
ভোটচুরির দায়িত্ব পেয়েছেন ১২ পুলিশ কর্মকর্তা: রিজভী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ‘ভোটে কারচুপির জন্য জোন ভাগ করে পুলিশের ১২ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট জোনগুলোর বৈঠক সম্পন্ন করেছেন।’


শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভোটে কারচুপির জন্য জোন ভাগ করে পুলিশের ১২ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর, ঢাকা বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগে অ্যাডিশনাল আইজি, ডিআইজি ও এআইজি র‌্যাংকের অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রাজশাহী ও রংপুর জোনে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ডিআইজি ও এআইজি পদমর্যাদার অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। খুলনা ও বরিশাল জোনেও একইভাবে এসবির অতিরিক্ত আইজি, ডিআইজি এবং সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন পুলিশ সদর দফতরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।’


তিনি বলেন, পুলিশের এই ১২ কর্মকর্তা ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রভিত্তিক আওয়ামী লীগ-বিএনপির কেন্দ্রের তালিকা, কেন্দ্রভিত্তিক হিন্দু ভোটারদের অবস্থান, কেন্দ্রভিত্তিক বিএনপির অবস্থান, কেন্দ্রভিত্তিক বিএনপির প্রভাবশালীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত ব্যালটের বাইরে অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হবে, যা থানায় ভোটের আগে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। প্রয়োজনমতো ব্যালট বাক্সে ঢোকানো হবে।


তার অভিযোগ, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত ব্যালটের বাইরে অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হবে, যা থানায় ভোটের আগে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। প্রয়োজনমতো ব্যালট বাক্সে তা ঢোকানো হবে। প্রিসাইডিং অফিসারদের মূল স্বাক্ষরের ফলাফল শিটে, ভোট গণনা পরিবর্তন করে, রিটার্নিং অফিসারকে প্রেরণ করার নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।’


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রতিদিন সিইসির কাছে বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা পাঠানো হয় বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তবে তাদের ভূমিকা ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থের পক্ষে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম নিয়মিত তাদের সঙ্গে ফোনে নির্বাচনের বিভিন্ন ধরনের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে থাকেন বলেও জনান্তিকে নানা কথা ভেসে বেড়ায়। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব তাদের মধ্যে সিনিয়র একজনকে দেয়া হয়েছে। এই কমিশনারের মাধ্যমে ইসিকে এইচটি ইমাম সব ধরনের নির্দেশনা দেন।



বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারদের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সেল স্থাপন করা হয়েছে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট সেলের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।


নির্বাচন কমিশনও আপিলে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা বহালের ক্ষেত্রে ওই নির্দেশনা অনুসরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারককে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা সেলের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।


বিবার্তা/হাসান/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com