সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে চান, আমরা বলেছি মোস্ট ওয়েলকাম। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারি দলের সংলাপে খোলামেলা আলোচনা হবে।
সংলাপে অংশ নিতে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর কাউকে ঐক্যফ্রন্ট সঙ্গে নেবে না বলেই আশা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের। তিনি বলেন, এখানে নিবন্ধনের বাইরে বোধ হয় কারো আসার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেছেন, তারা যে দফা-দাবির কথা বলছেন, সে বিষয়ে জানা থাকা দরকার, কতোগুলো বিষয় কিন্তু আমাদের এখতিয়ারে নেই।
সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট। সেখানে সাত দফা দাবি এবং ১১টি লক্ষ্য সংবলিত চিঠি দেয় গণফোরাম-বিএনপিসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত এ জোট। সংলাপের আহবানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে ডেকেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের জন্য ড. কামাল হোসেন চিঠি দিয়েছেন। আমরা আমাদের নেতাদের সঙ্গে একসঙ্গে আলোচনা করে নেত্রীর সঙ্গে একমত হয়েছি। আমরা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে এই সংলাপে সম্মত হয়েছি। এ কারণেই জননেত্রী শেখ হাসিনা ড. কামাল হোসেনকে ১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তার নীতি নৈতিকতা আছে। প্রধানমন্ত্রী তাকে চাচা বলে সম্বোধন করেন। যদিও তিনি ঐক্যফ্যন্টের বা ওই জোটের শীর্ষ নেতা কিনা আমরা নিশ্চিত নই। তিনি হয়তো শীর্ষ নেতা নন, এই জোটের নেতৃত্ব কী লন্ডন থেকে দেয়া হচ্ছে নাকি বাংলাদেশ থেকে দেয়া হচ্ছে তা সংলাপে বসার পর বোঝা যাবে।
কোনো চাপের কারণে এই সংলাপে বসা হচ্ছে না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা কোনো চাপে এই সংলাপে বসছি না। সংলাপে বসার অর্থ কারো প্রতি নতি শিকার করা নয়। এমন তো না যে, দেশে মহাআন্দোলন হচ্ছে, সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বসছি। আমাদের পার্টি বলেছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দরজা কারও জন্য বন্ধ নয়।
জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিকে ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে নিলে বিষয়টি কীভাবে দেখবেন- সেই প্রশ্নে কাদের বলেন, এটা কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটবে বলে আমার মনে হয়। ড. কামাল হোসেন সাহেব তো প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি তো কিছু দিন আগে বলেছেন জামায়াতের সঙ্গে আমি নেই। বলেছেন না? তিনি কি করেন দেখি।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য আলোচনার টেবিলে তোলা হবে। আলোচনার টেবিলেই সিদ্ধান্ত হবে। তারা তাদের দাবিতে অটল থাকবে, না সরে আসবে, দেখেন না কী হয়!
তিনি আরো বলেন, কোনো শর্ত-দফা নয়, খোলামেলা পরিবেশেই আলাপ-আলোচনা হবে, তা না হলে তো আমরা ডিনারের ব্যবস্থা করতাম না। খোলামেলা পরিবেশেই আমরা আলোচনা করব।
ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের কতজন থাকবেন সেটা নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। মঙ্গলবার ঐক্যফ্রন্ট তালিকা পাঠাবে। সেটা দেখে আওয়ামী লীগও তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]