শিরোনাম
‘নির্বাচনকালীন সরকারের আকার নিয়ে সিদ্ধান্ত ২৬ অক্টোবর’
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:২৯
‘নির্বাচনকালীন সরকারের আকার নিয়ে সিদ্ধান্ত ২৬ অক্টোবর’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ২৬ অক্টোবর নির্বাচনকালীন সরকারের আকার নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি ও পার্লামেন্টারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারও চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২৬ অক্টোবরের পর তা প্রকাশ করা হবে।


সচিবালয়ে মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করার সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার গত নির্বাচনকালীন সরকারের মতোই হবে। দুই-একজন নতুন মুখ আসতে পারে। নতুন মুখ যারা আসবে, তারা সবাই প্রধান বিরোধীদল থেকে। তবে কতজন হবে সে সিদ্ধান্ত হবে ২৬ অক্টোবরের যৌথসভায়। তখন যে সরকার হবে সেটি হবে নিয়মিত সরকার। তবে আকার ছোটবড় হতে পারে।


আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবার মন্ত্রিসভার আকারে বড় কোনো পরিবর্তন নাও আনা হতে পারে বলে সোমবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাদের এ কথা বলেন।


তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর একনেক সভা হবে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকও হবে না।


ওবায়দুল কাদের বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় কাউকেই বাধা দেয়া হবে না। সবাই সমান সুযোগ পাবেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীরা তাদের নিজস্ব নির্বাচনি এলাকায় গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে নির্বাচনি এলাকার বাইরে তারা তা পারবেন। নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রীদের নিরাপত্তা আগের মতোই বহাল থাকবে।


ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নব্য নেতা হিসেবে নয়, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য। এবিষয় আমাদের কিছু বলার নেই।


নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা আইনের কোনো পরিবর্তন হবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে কোনো আইন সংশোধেনের সুযোগ নেই। কারণ আমাদের সংসদ চলবে আর মাত্র দুইদিন। এই দুইদিনে এটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। তবে ডিজিটাল আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয়, সেদিকে নজর থাকবে।


এই আইনের মাধ্যমে কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না জানিয়ে কাদের বলেন, এই আইনের যেন কোনো ধরনের অপপ্রয়োগ না হয় সে বিষয়ে আমরা শক্তভাবে নজর রাখব। আমরা মনে করি এ আইন দিয়ে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের লালন হবে। এ আইনের মাধ্যমে কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না।


তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে করছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও ভেতরে ভেতরে সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com