শিরোনাম
কামাল-ফখরুলের ঐক্য নিয়ে সংশয়ের সুর
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:১৩
কামাল-ফখরুলের ঐক্য নিয়ে সংশয়ের সুর
রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতারা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার’ সমাবেশ মঞ্চে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের দেখা গেলেও ভেতরে-বাইরে এ উদ্যোগ নিয়ে রয়েছে নানা সংশয়, অবিশ্বাস। আস্থাহীনতার সুর শোনা গেছে খোদ বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার মুখেই।


তাদের পর্যবেক্ষণ- ‘ঐক্যের নামে এই জোট আসলে নির্বাচনমুখী নয়; এটি বরং নির্বাচন প্রতিহত করার শক্তি’।


রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্যের সমাবেশের নামে এটি আসলে বিএনপির সাথে ড. কামাল ও বি চৌধুরীর একাট্টা হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা। কারণ বিএনপিসহ ২০ দলের জোটের শরীকদলগুলোকে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছিলো জামায়াত ছাড়া সবাইকে বলা হয়েছে। কিন্তু একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী হিসাবে মাওলানা ইসহাকের দলের মহাসচিব আবদুল কাদেরের উপস্থিতি কামাল হোসেনের ইমেজকে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছে। কারণ এই কাদের, একসময় ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের এক অংশের নেতা কাসেমীও।


অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত ক্লিন ইমেজের রাজনীতিক কর্নেল (অব.) অলি আহমেদকে জাতীয় ঐক্যের সভায় দেখা যায়নি। তার দলের কোনো প্রতিনিধিকেও পাঠানো হয়নি। একই পথ অনুসরণ করেছেন মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নাতি জেবেল রহমান গাণির বাংলাদেশ ন্যাপ। যে যাদু মিয়া একদিন নিজের দলকে স্থগিত করে জিয়ার বিএনপি গড়ার সেনাপতি ছিলেন।


শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের কল্যাণ পার্টিকে দেখা যায়নি। সভায় যায়নি এমন দলের মধ্যে রয়েছে ন্যাশন্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টিও। যার নেতৃত্বে আছেন খন্দকার গোলাম মরতুজা। রহস্যময় কারণে মুসলিম লীগকেও দেখা যায়নি।


সূত্রমতে কর্নেল অলির নেতৃত্বে এলডিপি, ন্যাপ, কল্যাণ পার্টি, এনডিপিসহ আরো কয়েকটি দলের বোঝাপড়া চমৎকার পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির ভোটহীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করাকে তারা ইতিবাচক চোখে দেখছে না। অথচ জোটের দুর্দিনে তারা কখনই বিএনপিকে ছেড়ে যায়নি। যুক্তফ্রন্টের উদ্যোক্তা মাহমুদুর রহমান মান্নার দল নাগরিক ঐক্যের তো নিবন্ধনই নেই।


খোদ বিএনপিতেও কামাল হোসেন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর এমন জোট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিএনপির মধ্যেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে তা সামনে চলে আসতে পারে।


নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, যতই কামাল হোসেন তারেক রহমানকে গালমন্দ করুক কিংবা জামায়াত বর্জনের কথা বলুন, বাস্তবতা তেমন নয়। এই জোটের মূল লক্ষ্য, দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় বসানো। সেই কারণে কামাল হোসেন কিংবা মাহমুদুর রহমান মান্নাদের কোনো সংসদীয় আসন না থেকেও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলে তারা চালিয়ে গিয়ে শান্তিপূর্ণ হতে হতে তারা একসময় নাশকতাকে পরিচিত করাবেন।


ওই নেতা আরো বলেন, বিএনপির সারাদেশের নেতারা নির্বাচন করতে চান। কিন্তু এই ঐক্যের নামে জোট মূলত নির্বাচনমুখী নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার শক্তি। যারা এর নেতৃত্বে আছেন বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তাদের ইমেজ বেশ ভালো। কর্নেল অলিসহ জোটের নেতৃবৃন্দ এই ঐক্যে না যাওয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরু হলো।


বিবার্তা/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com