শিরোনাম
ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া বড় দুর্যোগ : খসরু
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০১৮, ১৫:২৬
ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া বড় দুর্যোগ : খসরু
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষের যে কোনো দুর্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার মতো এতো বড় বিপদ বা দুর্যোগ আর নেই। এমন দুর্যোগে সেনাবাহিনীর ভূমিকা থাকলে তাদের সমস্যা কোথায়? নিশ্চয়, ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। কোনো সমস্যা অবশ্যই আছে, না হলে তাদের ভয় কেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে।


শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’নামের একটি সংগঠন আয়োজিত‘নাগরিক অধিকার ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় তিনি এই কথা বলেন।


এসময় তিনি বলেন, দেশের যে কোনো ধরনের দুর্যোগ উত্তরণে সেনাবাহিনীর অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। তাহলে একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে এই বাহিনীর ভূমিকা থাকলে ক্ষতি কী!


বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারটি সরকারের কাছে এতো স্পর্শকাতর হয়ে গেলো কেন- তা দেশের মানুষ বুঝেছে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এতোগুলো নির্বাচন হলো একটিও প্রশ্নবিদ্ধ হলো না এবং সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলো। তাহলে তাদের তদারকিতে নির্বাচনের বিষয়টি স্পর্শকাতর হলো কেন?


বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) কাছে স্পর্শকাতর কারণ তারা ভয় পাচ্ছে নিজেদের দুর্বলতার কারণে। সেনাবাহিনীর প্রতি কোনো রাজনৈতিক দলের দুর্বলতা থাকলে বুঝতে হবে তারা দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি অন্যায় করছে। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করলে তাদের ভয় হতো না।


আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকতে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে উন্নয়নের মিথ্যাচার করছে, তারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে উন্নয়নের কথা বলে যাচ্ছে। অধিকার কেড়ে নিয়ে যখন বারবার উন্নয়নের কথা বলতে থাকে তখন আপনাকে বুঝতে হবে এটা একটা নিশ্চিত স্বৈরাচার সরকার। যুগে যুগে এটা হয়ে আসছে। উন্নয়নের কথা বিক্রি করে ক্ষমতা ধরে রাখা।


সরকার উন্নয়নের নামে ধোঁকা দিচ্ছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, উন্নয়নের যে মূল ভিত্তি সেগুলো হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান। আট বছর আগে দেশের মানুষের যে জীবনযাত্রার মান ছিলো আজকে সেই অবস্থান থেকে ৯/১০ শতাংশ কমে গেছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে আমরা আজ সর্বনিম্ন। আজকে দেশে সাড়ে চার কোটি মানুষ বেকার। যাদের চাকরি আছে তাদের জীবনযাত্রার মানও কমে গেছে। বাংলাদেশে আজকে ব্যক্তিগত কোনো বিনিয়োগ নেই। বিদেশী বিনিয়োগ হচ্ছে না।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকারি বিনিয়োগে যে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে এর টাকাটা বিদেশে চলে যাচ্ছে। এই টাকা সুইস ব্যাংকে যাচ্ছে, লন্ডন, মালয়েশিয়া, কানাডাও যাচ্ছে, বাড়ি করছে। এগুলো যারা করছেন, তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। বিশ্ব এখন ওপেন। কার বাড়ি কোথায় সব জানা যায়। এগুলো লুকানো সম্ভব নয়। পানামা পেপারসে তাদের নাম এসেছে। ব্যাংকগুলো খারাপ পরিস্থিতি করে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে দুই বছর আগে, এখনো তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করছে না। কারণ এই টাকা চুরি করার পেছনে তাদের লোকজন জড়িত।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সরকার প্রবৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে বিষয়টি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। যে দেশে মানুষের চাকরি নেই, ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে- এই পরিস্থিতিতে যদি বলে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা এর চেয়ে মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বলছে, এই খবর সত্যি নয়। কারণ অর্থনীতির মাঠ পর্যায়ের যে খবর তার সঙ্গে এই প্রবৃদ্ধির খবরের মিল নেই। এটি বানোয়াট।


আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এস এম হাসান তালুকদার, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া আনোয়ার প্রমুখ।


বিবার্তা/বিপ্লব/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com