
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অর্ন্তবর্তী সরকার যে সংস্কারের কথা বলছেন সে সংস্কার যদি আসলে করা হয়, সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তা যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করতে হবে। যাতে একটি প্রকৃত সংস্কারের মধ্য দিয়ে প্রকৃত বহুদলীয় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের যে পথ চলা সেটাকে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। আর এ কাজ করতে আমার মনে হয় বেশি সময় লাগবে না।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার কাজ করছে তা একটি বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে। পরবর্তী সময়ে এগুলো আলো দেখাবে। পরবর্তীতে জনগণের মেন্ডেট নিয়ে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবে।
তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি এই মুহূর্তে দেশে অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। তারা এখন চুপচাপ বসে থাকলেও ভেতরে ভেতরে কাজ করছে, নানা ষড়যন্ত্র করছে। কারণ তাদের হাতে প্রচুর কালো টাকা আছে। সেই কালো টাকা তারা ব্যবহার করছে। সেই কালো টাকা ব্যবহার করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা এবং রাজনৈতিক। শেখ হাসিনার প্রতিহিংসাপূরণের জন্য তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার একক কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাংলাদেশে যাতে কোন টু শব্দ না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে, সাজা দিয়ে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমরা এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করছি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর খুব গভীরে স্টাডি করার জন্য। শুধু হেডলাইনটা স্টাডি করলেই বোঝা যাবে এগুলোর মাস্টারমাইন্ড ছিল শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তার ক্রোধ তার আক্রোশ পূরণ করার জন্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে সাজা দিয়েছে। এখন অর্ন্তবর্তী সরকারকে বলব বেশি দেরি করবেন না, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]