'সব প্রস্তাবে একমত হতে বললে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেন'
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ২২:২২
'সব প্রস্তাবে একমত হতে বললে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেন'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাবে একমত হতে বললে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।


তিনি বলেন, কমিশনে আমাদের একটা শর্ত ছিল যে, এনসিসির মতো বা সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটির মতো কোনো বিষয় এখানে থাকলে সেই বিবেচনাটা আগের প্রস্তাব অনুসারে যেতে হবে আমাদের। সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।


তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এমপিরা ভোট দেওয়ার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তো ঐকমত্য তো পোষণ হচ্ছে। এখন যদি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাবে আমাদের শতভাগ একমত হতে বলে তাহলে আলোচনার জন্য ডাকা হলো কেন?


তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য পোষণ হলে যেসব বিষয়ে দলসমূহ একমত হবে, সেই বিষয়গুলো এক করে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদ সই হওয়ার কথা। তো এখন এখানে যদি আমাদের বাধ্য করা হয় যে এসব বিষয়ে একমত হতেই হবে, সেটাতো সঠিক হলো না।


রোববার (২৯ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।


সালাহউদ্দিন বলেন, আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আলোচনার জন্য দুটি বিষয় নির্ধারিত ছিল। প্রথম বিষয় সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি। দ্বিতীয় বিষয় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট। তার মধ্যে নিম্নকক্ষ আছে। এই দুই বিষয়ের প্রথম ভাগের আলোচনায় সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কমিটি যেটা গত দিনের আলোচনায়ও ছিল, এর আগেও ছিল এনসিসি নামে। তারপর সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কমিটি এই নামে ছিল তারপরের দিন। আজও একইভাবে এসেছে এখানে সংস্কার কমিশনের জাতীয় ঐক্য কমিশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি বিষয়ে সংযোজন সংশোধন করে আজকে উপস্থাপন করা হয়েছে।


বিএনপির এই নেতা বলেন, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই বিদ্যমান আইন যেমন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিষয়টি এখানে আসছে। বিদ্যমান আইনে অনেক সংস্কার প্রয়োজন। আমরা প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের নিজস্ব, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চয়তা বিধান করতে চাই।


তিনি বলেন, নিম্নপক্ষের বিষয়ে অর্থাৎ বিদ্যমান যেটা আমরা জাতীয় সংসদ হিসেবে জানি। সেখানে বর্তমান পদ্ধতি যেভাবে নির্বাচিত হয় সরাসরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংসদীয় আসন। সেই এই জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবে সেটাই বলা হয়েছে। আমরা সেটাতে একমত। হয়তো দু-একটি দলের আলাদা কোনো মতামত থাকতে পারে। এখন এই দুটি বিষয়েই আজ অনিষ্পন্ন রয়ে গেলো।


আজ জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে আসতে পারছে না এবং এর কারণে তারা যে জুলাই সনদ দিতে চাচ্ছিল বা জাতীয় সনদ যেটা বলছে সেটাও তারা দিতে পারছে না। বিএনপির অবস্থানটা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বলি বা জাতীয় সনদ বলি এ বিষয়ে সই হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি আন্তরিকতা আমরা প্রদর্শন করেছি। জাতীয় মূলনীতির ক্ষেত্রে আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।


বিবার্তা/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com