
দেশের সকল বিবেকবান শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, মহলকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
২ আগস্ট, শুক্রবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক নেতৃবৃন্দ এসব মন্তব্য করেন।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সাম্প্রতিক ছাত্রআন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধ, সংঘাত, সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিশু, সাংবাদিক, পথচারী সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি, কয়েক শত মানুষ আহত হওয়া, সরকারি স্থাপনা ও জনগণের সম্পদ ধ্বংসের অনাকাঙ্ক্ষিত হৃদয়বিদারক ঘটনায় সমগ্র জাতির সাথে তারাও শোকাহত ও স্তম্ভিত।
তারা বলেন, তারা বিশ্বাস করেন, দেশের একটি মানুষও দেশে এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। দেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিটি প্রাণহানির ঘটনার বিচার চায়, প্রতিটি ধ্বংসাত্মক ঘটনার বিচার চায়। দেশের প্রতিটি মানুষ জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে চায়। দেশের একটি মানুষও আর কোনো উছিলায় নতুন করে অস্থিরতা, সংঘাত, অশান্তি চায় না।
তারা বলেন, সমগ্র দেশবাসীর সাথে তারাও লক্ষ্য করছি যে, সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ প্রতিটি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে, প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের বিচার, নিহতদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেয়াসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার ও প্রশাসন আন্দোলনকারী সাথে যোগাযোগ বজায় রেখে তাদের কথা ধৈর্যের সাথে শুনছে। পুলিশ ও প্রশাসনকে ভুলগুলি সংশোধন এবং সংবেদনশীল আচরণ করতে বাধ্য করেছে। সরকার স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তারা বলেন, সমগ্র দেশবাসী যখন শান্তি চায় তখন উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, এরকম পরিস্থিতি নিরপেক্ষতার মুখোশধারী, স্বঘোষিত অভিভাবক, নামধারী গোষ্ঠী, একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক মহল তাদের গোষ্ঠীগত সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে শিক্ষার্থীদের দুঃখ, বেদনা, কষ্ট, আবেগকে পুঁজি করে উসকানি দিয়ে নতুন করে উত্তেজনা, অস্থিরতা, সংঘাত, সংঘর্ষ, অশান্তি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে।
তারা দেশের সকল বিবেকবান শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, মহলকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে ও নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিবৃতি দাতা সাবেক ছাত্রনেতারা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, এস এম কামাল হোসেন, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি নুর আহমেদ বকুল, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল কাইয়ুম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তপন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো: আনোয়ারুল হক, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, জাতীয় ছাত্রঐক্যের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশোক ধর, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জিয়াউল হক মুক্তা, জাসদ ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি সাব্বাহ আলী কলিন্স, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মোশাহিদ আহমেদ, ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি রাজু আহমেদ, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণ, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খায়রুল হাসান জুয়েল, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামসুল ইসলাম সুমন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবীব শামীম, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল, জাতীয় ছাত্রঐক্যের সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ, সমাজবাদী ছাত্র জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শুভাসিস সমদ্দার, ছাত্রঅন্দোলনের সাবেক সভাপতি ইউনুস সিকদার প্রমুখ
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]