
একপক্ষ তুমি কে, আমি কে- বাঙালি, বাঙালি, অন্যপক্ষকে তুমি কে, আমি কে- রাজাকার, রাজাকার বলে যখন স্লোগান দিচ্ছে তখন সমগ্র জাতি গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠিত বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষের নামে প্রজন্মের মধ্যে বিভক্তি রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়।
তারা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই বিভক্তিকে উষ্কে দিয়ে আসলে দেশকে কোথায় নিয়ে চাচ্ছেন? আসলে কি এই বিভক্তির মধ্য দিয়ে সরকার প্রধান দেশের সকল লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আর দেশবিরোধীদের আড়াল করতে চাচ্ছেন। এই ইস্যু কি সরকার, দেশ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ বয়ে আনবে।
১৫ জুলাই, সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় তথাকথিত সরকার পন্থি বুদ্ধিজীবী ও সরকার সমর্থক বিজ্ঞজনদের কাছে প্রশ্ন রাখেন যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে বসেই সমস্যা সমাধান করা যেত সেটা না করে একটি অপ্রত্যাশিত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আজকের প্রজন্মকে দুইটা ধারায় বিভক্ত করে দেয়া হলো এটা জাতির জন্য ভালো কিছু বহন করে নিয়ে আসবে কি? নাকি সমগ্র জাতিকে সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়ে দেশটাকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের পালে হাওয়া দেয়া হচ্ছে।
তারা বলেন, কোন ধারায় বেশি, কোন ধারায় কম সেই বিশ্লেষণের প্রয়োজন নাই। তবে, ৫৩ বছরে স্বাধীনতার বিরুদ্ধবাদীদের মাধ্যমে যা সম্ভব হয় নাই তা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একক শক্তি বলে দাবিদাররা সম্ভব করে দিলো একটি কথার মধ্য দিয়ে এটি আজ দিবালোকের মত স্পষ্ট। যার ফলে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মধ্য রাতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করা যে স্লোগান তুমি কে, আমি কে-রাজাকার, রাজাকার। অপর দিকে আরেকটি স্লোগান তুমি কে, আমি কে - বাঙালি, বাঙালি।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, জনগণের ভোটাধিকার, নিরাপদ সড়কের অধিকার, চাকরির অধিকার, দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার সর্বোপরি স্বাধীনতা ও সাম্যের অধিকার নিয়ে যারাই কথাই বলছেন বা বলতে চাচ্ছেন অথবা আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিচ্ছেন তাদেরকে এক কথায় রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করে প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি।
তারা বলেন, প্রজন্মকে বিভক্ত করে ফায়দা লুটছেন কারা ? কারা দেশের ভবিষ্যতকে বিভক্ত করে দিয়ে দেশটাকে লুটেপুটে খেতে চাচ্ছেন, কারা দেশটাকে শূন্যে পরিণত করে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছেন ? সূক্ষ্মভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করছেন প্রকাশ্যে। কোন অপশক্তি সুযোগটা লুফে নিচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সকল পক্ষকে এখনই বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। এ বিষয়ে দায়িত্বশীলরা এখনই ভূমিকা পালন করতে না পারলে পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে যা কারো জন্যই শুভ ফল বয়ে আনবে না, আনতে পারে না। সকল মনে রাখতে হবে, নেতৃত্বের বড় গুণ হলো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা, ঐক্যবদ্ধ রাখা। বিভাজন সৃষ্টি করে জাতিকে দুর্বল করা নয়।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]