
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব এবং ওআইসি মহাসচিব সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। আর বিএনপি-জামায়াত ও নামধারী বুদ্ধিজীবীরা দেশের কোনো উন্নয়ন দেখতে পান না। তারা বিষোদগারে ব্যস্ত থাকেন।
৪ জুন, মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়ন, সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আমরা যে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি, এর পেছনেও বঙ্গবন্ধুর বিরাট ভূমিকা ছিল। তিনিই এই কমিটির সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করেছিলেন। ছিটমহল সমস্যার সমাধানও বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ভূমিকার ফসল। স্যাটেলাইট জগতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের শক্ত ভিত রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি-জামায়াত এবং নামধারী বুদ্ধিজীবীরা কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। তারা বিষোদগারে ব্যস্ত। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশের যে কোনো উন্নয়নের পথে তারা বাধা সৃষ্টি করে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করেন। তাদের বুদ্ধি যেন উন্নয়নের কাজে লাগে, অপপ্রচারের কাজে নয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ও বিচার বিভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে। বিচার বিভাগ কিংবা অন্যান্য সরকারি সংসাগুলোর ওপর সরকারের কোনো প্রভাব নেই। দুদকসহ প্রতিটি সংস্থাই স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আদালত এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। অথচ তিনি আদালতের ওপর চূড়ান্ত অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। অথচ আমাদের দেশে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করেন।
এসময় তিনি বলেন, তারেক রহমান ও কোকো দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এমনকি বেগম জিয়াও দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বরপুত্র হলো তারেক রহমান। তাদের পৃষ্ঠপোষক মির্জা ফখরুল। ক্ষমতায় থাকাকালে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল বিএনপি। সব ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবিলা করেছি, ভবিষ্যতেও ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনাদের শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়ে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। বেগম জিয়া অসুস্থ মানুষ। তিনি আমার মায়ের বয়সী। তার বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। তারপর তিনিও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত।
দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল। একটা প্রবাদ আছে না চোরের মায়ের বড় গলা। আপনাদের আমলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন ছিল এ কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, হাওয়া ভবনের বিষয়ে আপনারা জানেন, আর খোয়াব ভবনের বিষয়ে কথা বলতে আমার লজ্জা লাগে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]