
দ্রব্যের দাম বাড়ছে, এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা নিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ আছে। যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ নিয়ে সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা কাজে বসেছি।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এই কথা বলেন।
কোনো কোনো দেশের সহযোগিতা নিয়ে বিরোধীপক্ষ দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইলেও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভারত পক্ষে ছিল বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। বিএনপি যখন কোনো কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, সংসয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ নেই। তাদের কর্মকাণ্ড দুই দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভারত আমাদের পাশে ছিল। সেটা আমাদের দরকার ছিল। কিছু দেশ মিলে এদেশের কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। সেই প্রেক্ষাপটে ভারত ভালো ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার নির্ভার না। আমরা ৫ কোটি যুবকের কর্মসংস্থান করা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে আছি। প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ কর্মসংস্থান আমাদের করতেই হবে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা, জ্বালানি সংকটসহ আরো কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।
ড. ইউনূস প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত, বঞ্চিত তারাই মামলা করেছেন। গরিবের টাকা আত্মসাৎ করেছে আর বিচার হবে না, এটা তো হয় না!
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]