দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৮
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সিন্ডিকেট করে যে সকল দুর্বৃত্তরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।


নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্র্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের এই সংকট কাটিয়ে উঠতে তারা সরকারকে দ্রুত পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করারও দাবি জানিয়েছে।
৫ নভেম্বর, রবিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।


তারা বলেন, অসৎ ও লুটেরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। যেসব পণ্যের মূল্য প্রতিমুহুর্তে বৃদ্ধি হচ্ছে সেসব পণ্যের সংকট নেই এটা ব্যবসায়ীদের মুখ থেকেই বেরিয়ে আসছে। একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে লুটেরারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে ষড়যন্ত্রকারী লুটেরাগোষ্টি।


নেতৃদ্বয় বলেন, যারা পণ্য মজুদ ও কৃত্রিম সংকট তৈরির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে জনজীবন আরো বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। আর এখনই যদি মূল্য নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে।


নিত্য প্রয়োজনীয দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অভিমত প্রকাশ করে তারা আরো বলেন, সরকারের কেউ কেউ বলছেন কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য যে পর্যায়ে পৌঁছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অন্যের ওপর দায় চাপানো পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।


নেতৃদ্বয় বলে, দ্রব্যমূল্য যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে মানুষকে বাঁচাতে হলে পূর্ণ রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যুদ্ধ পরিস্থিতির যে কথা বলা হচ্ছে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, সরকারের সরবরাহ ব্যবস্থায়ও ত্রুটি আছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, অন্যের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। অতীতেও এ ধরনের অজুহাত দেখেছে দেশবাসী। এ অবস্থা চলতে থাকলে শ্রমজীবী মানুষ তো বটেই মধ্যবিত্তও বাঁচতে পারবে না।


তারা বলেন, আমাদের দেশে কিছু দিন পর পরই এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সরকারের এখন ‌দ্রুত রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে, এই রেশনিং ব্যবস্থা স্টান্ডবাই রাখতে হবে, নিত্য প্রয়োজনীয় যে জিনিসগুলো আছে তার মূল্যবৃদ্ধি হলেই রেশনিং পুনরায় চালু করতে হবে, যাতে মানুষের সমস্যা না হয়।


সরকার বলছে কারসাজি হয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যারা দুর্নীতিবাজ, মুনাফাখোর, যারা কারসাজি করে তাদের তাদেরকে সরকার গ্রেফতার করতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা তো নেওয়া হচ্ছে না ? ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে তারা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com