রাজনীতি
এড. সানজিদার উদ্যোগ: দলবেঁধে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখলো ঢাকা-৪ আসনের ৫০০ নেতাকর্মী
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:২০
এড. সানজিদার উদ্যোগ: দলবেঁধে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখলো ঢাকা-৪ আসনের ৫০০ নেতাকর্মী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানমের উদ্যোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫০০ নেতাকর্মী 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি দেখেছেন।


১৩ অক্টোবর, শুক্রবার রাজধানীর দোলাইরপাড়ের গীত সিনেমা হলে বিকেল ৩টার শো-তে দলবেঁধে মুভিটি দেখেন তারা। এই সময় ঢাকা-৪ আসনের স্থানীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।


সরেজমিনে দেখা যায়, শো শুরুর আগে সিনেমা হলের সামনে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার পোস্টারের সামনে কেউ সেলফি তুলছেন, কেউবা খোশগল্পে মেতে উঠেছেন, আবার অনেকে দলবেঁধে জয় বাংলার স্লোগান দিতে দিতে সিনেমা হলে প্রবেশ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত ছিল সিনেমা হল প্রাঙ্গণ।



কদমতলী থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল হোসেন পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখতে এসেছেন। তিনি বিবার্তাকে বলেন, এডভোকেট সানজিদা খানমের নেতৃত্বে ও আহ্বানে আমরা ঐতিহাসিক এই ছবিটি দেখেছি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার ডাকে সাড়া দিয়েছে। আর তিনি টিকিটসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে তার এই অনন্য উদ্যোগে আমরা গর্বিত।


শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম শাকিল শেখ বিবার্তাকে বলেন, তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুকে জানাতে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি একটি অনবদ্য সৃষ্টি। আর এই বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এডভোকেট সানজিদা আপা স্থানীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে সিনেমাটি দেখার ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।


কদমতলী থানা ৫৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি কাওছার হাওলাদার বিবার্তাকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি বলে এই মুভিটি দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানা, বোঝা ও উপলব্ধি করতে এই সিনেমাটি অসাধারণ। আগে বই-পুস্তকে বঙ্গবন্ধুকে জানলেও অনেক ইতিহাসই অজানা ছিল। সিনেমাটি দেখে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষা সম্পর্কে নতুন করে জানলাম। আর এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য সানজিদা খানম আপাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।


শ্যামপুর থানার ৪৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম হাসান গাজী বিবার্তাকে বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা। আগে বঙ্গবন্ধুর জীবনী আমি পড়লেও তাঁকে নিয়ে সিনেমা দেখা হয়নি। মুজিব আদর্শকে মনেপ্রাণে লালন করতে এই সিনেমাটি দেখার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ঢাকা-৪ আসনের সাবেক এমপি, এই এলাকার মাটি ও মানুষের নেত্রী এডভোকেট সানজিদা খানম আপা আমাদের নেতাকর্মীদের সম্মিলিতভাবে এই সিনেমাটি দেখার ব্যবস্থা করেছেন। ফলে মিছিলের মতো দলবেঁধে আমরা সিনেমাটি উপভোগ করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা আপার প্রতি।


দলের নেতাকর্মীদের সম্মিলিতভাবে এই সিনেমা দেখার আয়োজন করা প্রসঙ্গে এডভোকেট সানজিদা খানম বিবার্তাকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে যে চলচ্চিত্র, সেটা ইতিহাসেরই অংশ। বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ নির্মিত হয়েছে। ঢাকা-৪ আসনের এই হলটিতে সারাদেশের মতো আজই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। ঐতিহাসিক এই চলচ্চিত্রটি সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে দেখতে আমি গতকালই ৫০০ টিকিট-ই কিনেছি। আজকে নেতাকর্মীদের নিয়ে সিনেমাটি দেখেছি।


তিনি বলেন, সিনেমাটি দেখে আমার মনে হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে জীবন আমরা বইতে পড়েছি, যেটা শুনেছি, তার সাথে হুবহু মিল রেখে সুন্দরভাবে জাগ্রত ইতিহাসকে উপস্থাপন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে যারা অভিনয় করেছেন তারাও সুনিপুণভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিজনদের ফুটিয়ে তুলেছেন। মনে হচ্ছে যেন বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। ছবিটি দেখে অনেকের চোখের পানি এসেছে। সিনেমার শুরুতে আমিও নিজেকে রাখতে পারিনি।


তিনি আরো বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করি, তাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই চলচ্চিত্রটি দেখা। আজকে তো আমরা ৫০০ নেতাকর্মীদের নিয়ে দেখেছি। এছাড়া প্রতিদিন আমাদের ১০০ নেতাকর্মী যতদিন এই হলে সিনেমাটি চলবে, ততদিন দেখবে। এরপর এই হলে শো শেষ হয়ে গেলে এলইডির মাধ্যমে ঢাকা-৪ এর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণ প্রজন্মকে দেখাতে চাই। তাদের জানাতে চাই ইতিহাসটা কী?


এডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, আমাদের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চোখের সামনে ফুটে উঠেছে। সুতরাং ঐতিহাসিক এই মুভিটি মুক্তির প্রথম দিনে ৫০০ নেতাকর্মী নিয়ে দেখতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমার বিশ্বাস, বহুল প্রতীক্ষিত এ বায়োপিকের মাধ্যমে জাতি অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাস সঠিক ভাবে জানবে।



উল্লেখ্য, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহুল কাঙিক্ষত বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ১৩ অক্টোবর, শুক্রবার সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার শো'তে সিনেমাটি দেখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বায়োপিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের শিল্পী আরিফিন শুভ এবং বঙ্গবন্ধু পত্নী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। আর শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।


এছাড়া জনপ্রিয় অভিনেতা তৌকীর আহমেদ, চঞ্চল চৌধুরী, প্রার্থনা দীঘি ও অন্যরা বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন।


বিবার্তা/রাসেল/রোমেল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com