সরকার পদত্যাগের চূড়ান্ত আন্দোলনের এক দফা দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ আজ। মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই জড়ো হচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ শুরু হবে।

বিএনপি মহাসমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই গতকাল বিলেক থেকে নয়াপল্টন সরগরম হয়ে ওঠে। মহাসমাবেশ উপলক্ষে রাতেই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়।

আজ ভোর থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনে এখন যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে থেকে আসা নেতাকর্মী।

এখন মঞ্চে দলীয় সংগীত, বিভিন্ন প্রতিবাদী গান গেয়ে নেতাকর্মীদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।

বিএনপির মহাসমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে বিএনপিকে তাদের পছন্দের জায়গায় ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি। সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় ডিএমপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিএমপির ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, আশা করি তারা বিএনপির মহাসমাবেশের নিরাপত্তা বিধানে যথাযথ সহযোগিতা করবেন। সমাবেশে আসার পথে জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না।

আর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সমাবেশে লাঠিসোঁটা, কোনো ব্যাগ বহন করা যাবে না। রাষ্ট্রদ্রোহ কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না। কোনো কুচক্রীমহল যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি সমাবেশ এলাকায় বিজিবি মোতায়েন থাকবে।

বিবার্তা /এমই/মাসুম