আন্দোলন চূড়ান্ত ফয়সালার পর্বে অনুপ্রবেশ করতে যাচ্ছে: ফখরুল
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৩:১১
আন্দোলন চূড়ান্ত ফয়সালার পর্বে অনুপ্রবেশ করতে যাচ্ছে: ফখরুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশ-বিদেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তির সহযোগিতায় বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন আজ জনগণের স্বস্তস্ফূর্ত অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালার পর্বে অনুপ্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


রবিবার (২৩ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, এতদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড গুম-খুন, জেল-জুলুম, নির্যাতন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা- মামলাসহ বিভিন্ন রকম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা করেছে। তাদের সমস্ত অপচেষ্টাই প্রায় ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।


আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অনির্বাচিত অবৈধ পার্লামেন্টে তারা তৈরি করেছে গণবিরোধী ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট (ডিএসএ)। এই গণবিরোধী আইনের বলে ইতিমধ্যেই শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নয়, মুক্তমনা অনেক সাংবাদিক ও স্বাধীন নাগরিকরাও শিকার হয়েছে মিথ্যা মামলার। এতকিছুর পরেও ক্ষমতাসীন সরকার গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে ভীত হয়ে প্রয়োগ করছে নতুন ডিজিটাল অস্ত্র ‘ইন্টারনেট-শাটডাউন। নির্যাতনকারী পুলিশ কেড়ে নিচ্ছে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাক্তিগত ডিভাইস ‘মোবাইল ফোন’।


মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান এই জন-বিচ্ছিন্ন, অত্যাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার কথায় কথায় ডিজিটাল বাংলাদেশের কৃতিত্ব দাবি করে থাকে। কিন্তু আমরা যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করে দেখি তবে দেখা যাবে বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবার অবস্থা কত শোচনীয়। বরং সাইবার জগতে মানুষের যেটুকু স্বাভাবিক অধিকার অবশিষ্ট আছে সেই অধিকারকেও কেড়ে নেয়ার গভীর চক্রান্ত করছে এই আওয়ামী লীগ সরকার।


তিনি বলেন, নাগরিকদের সেবা প্রদান এবং তাদের অধিকারকে সংরক্ষণ করার জন্য দেশে একাধিক প্রতিষ্ঠান আছে। তেমন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ হলো দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পরিচালনা এবং সেবার মান দেখভাল করা। কিন্তু জনগণের টাকায় প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানকেই বর্তমান স্বৈরাচারি সরকার জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়নের আরেকটি আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়ার মৌলিক নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে জনগণকে, কেড়ে নেয়া হচ্ছে মত প্রকাশের অধিকারকে।


গত ১২ জুলাই এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক সমাবেশ চলাকালে ঐ-এলাকার ইন্টারনেট সুবিধা বিচ্ছিন্ন/বিঘ্নিত করা হয়েছিলো। অথচ ঐদিন ঐসময়েই সরকারী দলের সমাবেশ স্থলের ইন্টারনেট সংযোগ ছিলো স্বাভাবিক। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরও প্রকাশিত হয়েছে।


ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট শাটডাউনের এটিই প্রথম ঘটনা নয়। ইতিপূর্বে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী এবং ঢাকায় বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশ গুলিতেও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সকল নাগরিকদের তথ্য পাওয়ার অধিকার লংঘন করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ আগ্রহী মহলকে করা হয়েছে বিচ্ছিন্ন।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সদস্য মোছা. শাম্মী আক্তার, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।


বিবার্তা/এমই/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com