আমাদেরও ভিসানীতি আছে, আমাদেরও একটা নিজস্ব নীতি আছে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মার্কিন ভিসানীতি তাদের নিজস্ব বিষয়, এ নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়।
বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে বাধা দিলে বা আগুন সন্ত্রাস করলে ভিসা না দেওয়ার নীতি ইতিবাচক। এসময় বিরোধীদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, কেউ নির্বাচনে অংশ নাই নিতে পারে, কিন্তু নির্বাচন হতে দেবে না, এমন কথা বলার অধিকার কারও নেই।
এম এ মান্নান বলেন, বিরোধীরা সবসময় ভোট চুরির অভিযোগ করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি বন্ধুদের কাছে ভোট চুরি বা অনিয়মের কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। তারা শুধু অভিযোগ দেয় কোনো প্রমাণ দেয় না।
আগামী নির্বাচন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভোটে কেউ যদি না যায় ঠিক আছে, কিন্তু ভোট হতে দেব না, পুড়িয়ে ফেলব, ভোটকেন্দ্রে আসতে দেব না- এটা বলা যাবে না। খেলতে গেলে খেলার নিয়ম-কানুন আছে। ফুটবলে রেফারি থাকে তেমনি নির্বাচনের খেলায় নির্বাচন কমিশন আছে। খেলতে গিয়ে মাঠে না নেমে কেউ যদি বলে আমি খেলতে দেব না এটা বলা যায় না, এটা চলে না।
অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। উন্নত বিশ্বের নাগরিক আর বাংলাদেশ মানুষের চাওয়া এক নয়। বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য ও নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা চায় উন্নয়ন চায়। গণতন্ত্র তাদের মূল দাবি নয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ভিসানীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদেরও ভিসানীতি আছে, আমাদেরও একটা নিজস্ব নীতি আছে। আমরা সবাইকে ভিসা দিই না। যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, যারা রাজাকার ছিল, মানুষকে হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে তালিকাভুক্ত, তাদের আমরা ভিসা দিই না। এটা আমাদের অধিকার। কেউ বলতে পারে না ভিসা দাও। আমেরিকাও তাদের নিজস্ব নীতিতে ভিসানীতি করেছে।
বর্তমানে কিছুটা বিদ্যুৎ সমস্যা আছে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের এখন কিছুটা সমস্যা আছে, তবে ঘরে ঘরে যে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে এই এই সরকার না হলে হতো না, এটিও সত্য। নিজের গ্রামের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি আমার এলাকায় প্রচুর যাতায়াত করি। মানুষের খোঁজখবর নিই। যেখানে গেলে গ্রামে ঢুকলে নিম্ন আয়ের মানুষ যারা আছে তারা আমার কাছে এসে কী চায় জানেন? তারা সড়ক, সেতু, বিদ্যু চায় না, তারা চায় খাবার পানি, টিউবওয়েল, তারা চায় ভাতার কার্ড। অনেকেই জানে না যে ভাতা কার্ডের নির্দিষ্ট কাইটেরিয়া আছে। বিধবা, বয়স্ক ভাতা। কোথাও শুনেছে কার্ড করলে ভাতা পাওয়া যায়, এজন্য ভাতা কার্ড চায়। গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ চায় দুই বান টিন। ইউএনও টিন দেয় শুনেছে, এসব চায়। আমাদের সারাদেশে সরকার একটা পরিবর্তন করেছে। সব শ্রেণির মানুষকে নিয়ে চিন্তা করে সরকার। সারাদেশে গৃহহীনদের ঘর করার মতো উদ্যোগ এই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা উপকূলীয় এলাকায়ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। সেখানে লবণাক্ততা নিয়েও কাজ করছি। বড় প্রকল্পের বাইরেও ছোট ছোট প্রকল্পও আছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড কান্ট্রি ডিরেক্টর মানিশ কুমার আগরওয়াল, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]