সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত : মির্জা ফখরুল
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ১৫:০২
সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত : মির্জা ফখরুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের এমপি মন্ত্রীরা বলছে- ‌‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটা এখন পুরোপুরি মৃত।’ আমরা মনে করি এটাই এখন রাইট ইস্যু। আমরা মনে করি সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তারা এতই চুরি করেছে এতই দুর্নীতি করেছে। একটি সমস্যার সমাধানও তারা করতে পারেনি। সেই সরকার থাকার তো কোনো কারণ নেই।


১০ জুন, শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে‌ এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী’র ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।


এ সময় গৌতম চক্রবর্তীর স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গৌতম বাবু প্রতিমুহূর্তে দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। গৌতম বাবু সবসময় চাইতেন দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এজন্য তাকে স্মরণ করে আমাদের যে কাজ তা এগিয়ে নিতে হবে।


তিনি বলেন, সরকার সব সময় উন্নয়নের কথা বলছে। কিন্তু গণতন্ত্র বিহীন কোন উন্নয়ন হতে পারে না, এটা টেকসই নয়। এটা ভেঙ্গে যাবে।


সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের কথা তারা এতটাই বলেছে যে ফেরি করে বেড়াতে হবে। তাদের এতই বিদ্যুৎ। এখন সেই বিদ্যুৎ কোথায় গেল? এখন আমাদের সেচে পানি দিতে পারছি না, ফ্যাক্টরি চালাতে পারছি না, এই হচ্ছে আজকের অবস্থা। জ্বালানি নেই একটার পর একটা পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এত এত রিজার্ভ আছে সেই রিজার্ভ গেল কোথায়?


বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের লক্ষ্য একটাই চুরি আর দুর্নীতি। আজকে সমস্ত কিছুর লক্ষ্য একটাই সেটা হচ্ছে নিজেদের পকেট ভর্তি করা এবং বিদেশে পাচার করা।


তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই কিন্তু সেই নির্বাচন হতে হবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচন করবে তাদের ইচ্ছায়, কারন সে এদেশের মালিক। আমাদের সংবিধান বলছে এদেশের মালিক হচ্ছে জনগণ।


ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি নিরপেক্ষ সরকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আমার যে নির্বাচন ব্যবস্থা, ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা এটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা জানে যদি স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন হয় তাহলে ক্ষমতা তো দূরের কথা পার্লামেন্টে দশ ভাগের বেশি ভোট তারা পাবে না।


তিনি বলেন, দেশের মানুষ ১৪ সালের ভোট দেখেছে ১৮ সালের ভোট দেখেছে। তারা (সরকার) আবার সেই জায়গায় যেতে চাচ্ছে, এটা প্রশ্নই উঠতে পারে না। ১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন আলোচনা করতে আমরা গিয়েছিলাম। এখন আবার আইনমন্ত্রী বলছে- ‘নির্বাচনের সময় হয়রানিমূলক মামলা করা হবে না।’ আমরা দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। তৃতীয়বার এদেশের মানুষ আর প্রতারণার শিকার হবে না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই তোমাদের এ সমস্ত কথা আর কেউ শুনবে না। তোমরা কখনোই কমিটমেন্ট রক্ষা করো নি।


স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার ও সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুন দে।


বিবার্তা/এমই/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com