জনগণের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : কাদের
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৫১
জনগণের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : কাদের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারি সংস্থাগুলোর সদস্যরা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। অথচ এ রকম ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনায় সেখানে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় সাহায্য করা বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল রক্ষায় এগিয়ে আসা; এ ধরনের কোনো উদ্যোগ বিএনপি গ্রহণ করেনি।


৫ এপ্রিল, বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।



ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে মানুষের জন্য রাজনীতি করে না, জনগণের প্রতি তাদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। তারা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব না করে শুধু ঘরে বসে থেকে বিবৃতি দেয়। ফলে এ রকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।


তিনি বলেন, গতকাল রাজধানীর বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করেছে।


বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপি তামাশার নির্বাচনে বিশ্বাস করে না।’ অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি এদেশে বার বার তামাশার নির্বাচন আয়োজন করেছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। অনুরূপভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ২০০৭ সালে বিএনপি যে নির্বাচনের আয়োজন করে গণআন্দোলনের মুখে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।


তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এদেশে সরকার পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। দেশে অগণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রবর্তক বিএনপির ওপর জনগণ আর আস্থা রাখতে চায় না।


ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের দাবি খালেদা জিয়াকে নাকি সরকার গৃহবন্দি করে রেখেছে এবং তারেক জিয়াকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি ও তারেক রহমানকে নির্বাসনে আওয়ামী লীগ সরকার পাঠায়নি। বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য চিৎকার করে ওয়ান-ইলেভেনে সেই সরকারই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই মামলায় তারা দুজন আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া সাজা ভোগ করছেন। অন্যদিকে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছিল।


বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির আমলে লুটপাটের মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিই ছিল তাদের রাজনীতির একমাত্র নীতি। দেশের জনগণ বিএনপির সেই অপশাসনের দুঃসময়ে ফিরে যেতে চায় না। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার গঠিত হবে।


বিবার্তা/সোহেল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com