সরকার আবোল তাবোল কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। ৩ মার্চ, শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অন্তরে মম শহীদ জিয়া নামক এক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

'বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের অনিবার্যতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আবোল তাবোল কথা বলছেন। আজ একজন বলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। আর কাল আরেকজন বলে করতে পারবেন না। পরশু একজন বলেন, রাজনীতি করতে পারবেন, তারপরের দিন আরেকজন বলেন করতে পারবেন না।

মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ উপলব্ধি করেছে, দেশের মানুষ খালেদা জিয়কে ভালোবাসেন। হুমকি ও ধামকি দিয়ে, মানুষ হত্যা করে, গুম করে ক্ষমতায় থাকা যেতে পারে। কিন্তু দেশের মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মানুষ যেভাবে চায়, সেভাবে সংবিধান লিখিত হবে। মানুষের প্রয়োজনে স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সংবিধান বারবার লিখিত হয়েছে, পুনঃলিখিত হয়েছে এবং তা হতে থাকবে। মানুষের প্রয়োজনে যেভাবে সংবিধান তৈরি করতে হয়, ঠিক সেভাবে করতে হবে।

তত্ত্ববোধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ বাতিল করেছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ দাবি করেছিল। তাদের সাথে ছিলো জামায়াত ইসলাম। ওই সময় জামায়াত জোরদার দল ছিলো, এখন ততটা নাই। জামায়াত ইসলাম যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করেছিলো, আওয়ামী লীগ তা হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১৯৯৬ সালে হালাল ছিল, আজ তা কেনো হারাম হয়ে গেল?

জনগণের দাবির মুখে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জনগণের নেত্রী। তিনি পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেন নাই। তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন সামনে দরজা দিয়ে। আর বেগম জিয়া ৮ বছর রাজপথে রাজনীতি করে রাজনীতিতে এসেছিলেন। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালি আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাম্মি আক্তার, বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিবার্তা/কিরণ/এমএ