চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
২ জানুয়ারি, সোমবার নামাজে জানাজা শেষে আজিমপুর করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গতকাল নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেসহ মোট পাঁচটি স্থানে খন্দকার মাহবুব হোসেনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজ সর্বশেষ খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া মাটির মসজিদ বাদ জহুর নামাজে জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর করব স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
গত শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। এরআগে গত মঙ্গলবার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে, অক্সিজেন নেয়ার জন্যদিতে হয় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলী ছিলেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খন্দকার মাহবুব। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।
খন্দকার মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই আসন থেকে এর আগেও অন্য দল থেকে একাধিক বার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিবার্তা/কিরণ/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]