শিরোনাম
এমসি কলেজে গণধর্ষণকারীরা ছাত্রলীগের কেউ না: জয়
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৪২
এমসি কলেজে গণধর্ষণকারীরা ছাত্রলীগের কেউ না: জয়
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা ছাত্রলীগের কেউ না বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।


তিনি বলেন, অপরাধীদের আমরা কখনই প্রশয় দেই না। অপরাধী সে যেই হোক, তাকে শাস্তি পেতে হবে। সিলেটের এমসি কলেজে কোনো কমিটি নেই। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কিন্তু ছাত্রলীগের কোনো নেতা না।


জানা গেছে, ২০০৯ সালে ছাত্রলীগের এমসি কলেজ কমিটি ঘোষণার পর আর কোনো কমিটি দিতে পারেনি সংগঠনটি।দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকলেও ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। পদপদবী ছাড়াও একেক জন ক্যাডারে পরিণত হয়ে চাঁদাবাজি, খুন, গুম করে সব সময় আলোচনায়।সর্বশেষ অপরাধের তালিকায় যুক্ত হয়েছে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ।


এদিকে ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে র‍্যাব-পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া এবং র‍্যাব-৯ এর কমান্ডার লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলামকে এ নির্দেশ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


এছাড়া ধর্ষণের সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের শাস্তি দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। একইসঙ্গে এসব ছাত্রলীগ নেতাদের প্রশ্রয়দাতাদের চিহ্নিতেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।


প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের ৬-৭ জন নেতাকর্মী। এরপর দুজনকে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে স্বামীকে আটকে রেখে তার সামনে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাতে ছাত্রাবাস থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দু-তিনজনের বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী।


মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, রবিউল হাসান, তারিকুল ইসলাম তারেক ও অর্জুন লস্কর। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। তবে তারা সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রঞ্জিত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।গণধর্ষণের ঘটনার পর রাতভর ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com