
চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি আনোয়ারা উপজেলার ঝাউবনে ঘেরা পারকি সৈকতও গত কয়েক দশকে পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় অনেকে পারকি ভ্রমণে যেতে চাইতেন না।
বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর থেকেই পারকি সৈকতে দর্শনার্থী বাড়ছে। এক সময় চট্টগ্রাম নগর থেকে দীর্ঘ পথ ঘুরে আনোয়ারা হয়ে পারকি সৈকতে আসতে সময় লাগত দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এখন কর্ণফুলী নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু টানেলের নিচ দিয়ে শহরের পতেঙ্গা থেকে আধা ঘণ্টারও কম সময়ে পারকি সৈকতে আসা যাচ্ছে।
সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটকদের কাছে ঝিনুকের মালা বিক্রি করেন মোহাম্মদ রাশেদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর থেকেই পারকি সৈকতে দর্শনার্থী বাড়ছে। বিশেষ করে স্কুলশিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন শেষ হওয়ার কারণে দূরদূরান্তর অনেক দর্শনার্থীও আসতে শুরু করেছেন।
গত ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল উদ্বোধন করা হয়। টানেলের টোল প্লাজা থেকে পারকি সমুদ্রসৈকতের দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। এতে নগরের সঙ্গে পারকি সৈকতে যোগাযোগ সহজ হয়েছে।
পারকি সৈকতে আসা পর্যটকদের ছবি তোলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, টানেলের কারণে দর্শনার্থী বাড়লেও হরতাল-অবরোধের কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। তবে ছুটির দিনে সৈকতে সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে।
পারকি সমুদ্রসৈকতে দর্শনার্থী বাড়াতে পর্যটন করপোরেশনের ৭৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের অধীনে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটকদের থাকার জন্য ১০টি সিঙ্গেল কটেজ, চারটি ডুপ্লেক্স কটেজ, তিনতলা মাল্টিপারপাস ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। এই প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]