‘থার্টি ফার্স্ট নাইটের’ আয়োজন না থাকলেও সৈকতে পর্যটকের ভিড়
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫
‘থার্টি ফার্স্ট নাইটের’ আয়োজন না থাকলেও সৈকতে পর্যটকের ভিড়
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদ্‌যাপনে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এবার কোনো আয়োজন নেই। এরপরও পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছর বরণে ভিড় বাড়ছে পর্যটকের।


গত মঙ্গলবার থেকে বছরের শেষ ছয় দিনে অন্তত চার লাখ পর্যটক সমাগমের আশা করছেন হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকেরা।


এবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।


কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, গত বছরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন করতে বছরের শেষ সাত দিনে প্রায় পাঁচ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটেছিল। এবার সৈকতসহ হোটেল-মোটেলে নতুন বছরকে বরণের কোনো উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনেও প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবু গতবারের তুলনায় কিছুটা কম হলেও ব্যাপক পর্যটক সমাগমের আশা করা হচ্ছে।


হোটেলমালিকেরা জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির কারণে টানা ৪৮ দিন সৈকতে তেমন পর্যটক ছিল না। এ কারণে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের অধিকাংশ কক্ষ খালি পড়ে ছিল। বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের ছুটিতে ব্যবসা কিছুটা চাঙা হলেও পরে আবার পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে সমুদ্রসৈকত। পাঁচ দিনের ছুটিতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে।


বেসরকারি ‘সি সেফ’ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারে মঙ্গলবার দুপুরে ৩০ হাজারের মতো পর্যটক ছিল। আশা করা হচ্ছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চার লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হবে।


কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারে পর্যটক বাড়তে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে চাঙা ভাব ফিরে এসেছে। বছরের শেষ দিন পর্যন্ত শতকোটি টাকার ব্যবসা হবে।


জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে কক্ষভাড়া ও খাবারের দামে বাড়তি টাকা যাতে কেউ নিতে না পারে, তা দেখভাল করতে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছেন। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট অভিযোগকেন্দ্র খোলা হয়েছে। হয়রানির শিকার পর্যটকেরা সেখানে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তা ছাড়া আতশবাজি, ফটকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন স্থানের বারও বন্ধ রাখা হবে।


ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ভ্রমণে এসে কোনো পর্যটক যেন হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com