
গ্লোবাল টিজিআই (টার্গেট গ্রুপ ইনডেক্স) জরিপ অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি চুইংগাম খেয়ে থাকে ইরানের মানুষ। সে দেশের ৮২ শতাংশ মানুষ চুইংগাম খায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরব, ৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ শতাংশ মানুষ নিয়মিত চুইংগাম চিবিয়ে থাকে।
প্রায় ৯ হাজার বছর আগে উত্তর ইউরোপের অধিবাসীরা বার্চগাছের বাকলের জমে যাওয়া রস চিবাত। স্বাদ আস্বাদনের পাশাপাশি সম্ভবত দাঁতের ব্যথা উপশমের ওষুধ হিসেবে এটি করত তারা। এটিকেই বলা যায় চুইংগামের আদি পিতা।
নৃবিজ্ঞানী জেনিফার পি ম্যাথুসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রাচীন মায়া ও আজটেক সভ্যতার লোকজন পিপাসা ও ক্ষুধা নিবারণের জন্য সফেদাগাছ থেকে প্রাপ্ত চিকল নামে একধরনের আঠালো পদার্থ চিবাত।
তবে তা শিশু ও অবিবাহিত মেয়েরা কেবল প্রকাশ্যে খেতে পারত। বিবাহিত, বিধবা ও পুরুষদের গোপনে খেতে হতো। ১৮৪০-এর দশকে শুরু হয় চুইংগামের বাণিজ্যিক উৎপাদন।
মার্কিন পপতারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের চুইংগাম-প্রেম বিশ্বজুড়ে বিদিত। একটি চুইংগাম তিনি কিছুক্ষণ মুখে রেখেছিলেন। পরে সেটি বিক্রি হয় ১৪ হাজার মার্কিন ডলারে।
সিঙ্গাপুরে চুইংগাম খাওয়া আইনত নিষিদ্ধ। ১৯৯২ সালে দেশটির সরকার চুইংগাম নিষিদ্ধ করে। সেখানে চুইংগাম চিবানো অবস্থায় কেউ ধরা পড়লে ৬ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হয়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]