বাড়ছে হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন, প্রভাব পড়ছে পরিবেশে
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৯
বাড়ছে হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন, প্রভাব পড়ছে পরিবেশে
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বর্তমানে দেশে বেড়েছে হাওর-বাওর কেন্দ্রিক পর্যটন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণপ্রেমীরা ছুটে আসেন কিশোরগঞ্জের হাওরে। তবে পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় প্রভাব পড়ছে হাওরের পরিবেশের ওপর।


কিশোরগঞ্জের নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা উপজেলার প্রায় সবটুকু এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হাওর। এই হাওর উপভোগ করতে নিকলী বেড়িবাঁধ এলাকায় দেখা যায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।


সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশাপাশি প্রতিদিন কিশোরগঞ্জের চার উপজেলার হাওরে ভিড় জমাচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। তবে এই পর্যটন শিল্প যেমন অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিশাল সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে পরিবেশ নষ্ট হবার ঝুঁকি। এতে হুমকির মুখে পড়েছে শুকনো মৌসুমে হাওর অঞ্চলের চাষাবাদ।


কিশোরগঞ্জের চার উপজেলা নিকলী, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হাওর এলাকা হিসেবে পরিচিতি। বর্ষায় হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ছুটে আসেন প্রায় অর্ধলাখ প্রকৃতিপ্রেমী। এ হাওরের সৌন্দর্যে খুঁজে পাওয়া যায় গ্রামীণ পরিবেশের স্বকীয়তা। ওপরে নীল আকাশ, নিচে বিস্তৃত নীল জল হাওর পর্যটনকে ঘিরে এরই মধ্যে কিশোরগঞ্জে গড়ে উঠছে হোটেল-রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।


বর্ষাকালের কয়েক মাস কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলসহ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জলরাশি মেলে ধরে পর্যটন এলাকার মোহনীয় রূপ। বিশেষ করে ‘অলওয়েদার রোড' সড়কটি পাল্টে দিয়েছে হাওরের চেহারা, সূচনা করেছ যুগান্তকারী যোগাযোগ ব্যবস্থার। এই সড়ক ও ২২টি দৃষ্টিনন্দন সেতু হাওরের সৌন্দর্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।


তবে পর্যটন শিল্পের প্রসার হলেও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওর এলাকার পরিবেশ। শুকনা মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত করছে পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক আর পলিথিন বর্জ্য।


সরজমিনে দেখা যায়, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের প্লেট, ওয়ানটাইম বিরিয়ানির প্যাকেট, কফির কাপসহ অপচনশীল বিভিন্ন পলিথিন। তাছাড়া এই পর্যটনীয় এলাকায় ডাস্টবিন না থাকায় যত্রতত্র ময়লা নদীর বুকে ভাসছে এতে হারাচ্ছে হাওরের সৌন্দর্য।


পরিবেশ বাদী সংগঠন বিডি ক্লিনের কিশোরগঞ্জ শাখার উপ-সমন্বয়ক সুপ্রতিক সরকার উৎস বলেন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা এদিক সেদিক ফেলে আমরাই পরিবেশকে ধ্বংস করছি,এই বিষয়ে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।হাওরে যদি সৌন্দর্যতা ধরে রাখতে চাই তাহলে পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা মনে করি পর্যটন শিল্প প্রসারের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় দরকার কঠোর নজরদারি। তাহলেই রক্ষা পাবে হাওরের কৃষি।


এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাওরে যত্রতত্র ময়লা ফেলার এই বিষয়টি নতুন কিছু নয় আমরা হাওরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছি ডাস্টবিনও দেওয়া আছে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com